শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা বাংলা ছবির জনপ্রিয় ও প্রশংসিত অভিনয় শিল্পী সন্ধ্যা রায়কে

সন্ধ্যা রায়। যশোরের এই মেয়েটি বাবা মা হারিয়েছিলো বাল্যকালে। অতি কষ্টে, অন্যের গলগ্রহ হয়ে জীবন কাটাতে হয়েছে সে সময়। কষ্টকর জীবন এড়াতে ১৯৫৭ সালে সূযোগ পেয়ে চলে যান কোলকাতায়। সেখানেও কেটেছে তার কষ্টের কিশোরী বেলা। মাত্র এগারো বছর বয়সে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে। তাঁর মিস্টি মুখ আর সাবলীল অভিনয় যেন সবার চোখ ধাঁদিয়ে দিয়েছিল। বাংলা চলচ্চিত্রে যখন সুচিত্রা, সাবিত্রী, সুপ্রিয়া, অরুন্ধতী, অপর্না’র মত গুনী নায়িকাদের শীর্ষ স্থান ধরে রাখার তীব্র প্রতিযোগিতা, তখন চলচ্চিত্রের আকাশে সন্ধ্যা তারার মত জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠেছিলেন সন্ধ্যা রায়। এমন মিষ্টি মুখের একটা ভিন্ন জনপ্রিয়তা তৈরি হতে খুব বেশি দেরি হয়নি। একের পর এক ছবিতে তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করেছে সে সময়ের দর্শকদের। পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়ের “অশনী সংকেত”, রাজেন তরফদারের “পালংক” (বাংলাদেশ ভারত যৌথ প্রযোজনা) কিংবা তরুন মজুমদারের “গণ দেবতা” তাঁকে খ্যাতির উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছে। অনেক ছবির এই নায়িকা অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ, অনুপ কুমার সহ অনেক নায়কের সংগে। ‘পালংক’ ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেন। সবচেয়ে কম বয়সী যে নায়কের সংগে সন্ধ্যা রায় অভিনয় করেছেন তিনি বাংলাদেশের আলমগীর। দুটো ছবিতে। কাজী জহিরের “ফুলের মালা” আর কোলকাতায় এ জে মিন্টু পরিচালিত “সত্য মিথ্যা”। আজ ১১ এপ্রিল তাঁর জন্মদিন। শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা বাংলা ছবির এই জনপ্রিয় ও প্রশংসিত অভিনয় শিল্পীকে।

মুজতবা সউদ