এলিনা শাম্মীও প্রিয়তমা’র সাফল্যের অংশীদার!

এবারের ঈদের রেকর্ড সৃষ্টি করা চলচ্চিত্র ‘প্রিয়তমা’। সুপারস্টার শাকিব খান ও কলকাতার ইধিকা পালের সঙ্গে নির্মাতা হিমেল আশরাফ এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী এলিনা শাম্মীকে। এই ছবিতে শাম্মী’র স্বামীর মৃত্যুর পর পরই মূল ঘটনা শুরু হয়। ছবিতে নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রিয়মুখ এলিনা শাম্মী একজন অল্প বয়সী বিধবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অসাধারণ অভিনয় করে এই চরিত্রে তিনি দারুনভাবে সফল হয়েছেন। প্রিয়তমা পুরো বাংলাদেশে তুমুল দর্শকপ্রিয়তার পর ৭ জুলাই থেকে আমেরিকা ও কানাডার ৪২টি প্রেক্ষাগৃহেও প্রদর্শন হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো – এলিনা শাম্মী এই ছবির সাফল্যের ভাগীদার হয়েও এখন পর্যন্ত এটি প্রেক্ষাগৃহে বসে উপভোগ করতে পারছেন না। এই অভিনেত্রী ঈদের আগে থেকেই অসুস্থ হয়ে এখনও বাসায় অবস্থান করছেন। প্রিয়তমা ছবিতে শাকিব খান ও ইধিকা’র সঙ্গে অভিনয় করা প্রসঙ্গে সুন্দরী অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী এই প্রতিবেদককে বলেন, দেশীয় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। সেটের বাইরে তার সাথে খুব বেশি কথা বলা হয়নি। তবে তিনি পরিক্ষিত অভিনয় শিল্পী, অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। ইধিকা খুব মিশুক মেয়ে, শুটিংয়ের অবসরে অনেক গল্প, আলাপ হয়েছে তার সঙ্গে। এই ছবির শুটিংয়ের সময় আমাদের দারুন সময় কেটেছে। তিনি আরও বলেন, ফার্স্ট লুক যখন ভাইরাল হলো, তখনই তো বোঝা গিয়েছিলো, কী হতে যাচ্ছে। তারপর গান রিলিজ হলো, ধামাকার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলো। এখন হলে উপচেপড়া দর্শক সেই ধারাবাহিকতারই প্রতিফলন। এই ছবিতে অভিনয় করে আমি প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। প্রিয়তমা দেখে এসে ফেসবুক মেসেঞ্জার, ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা নিজ ওয়ালে রিভিউ লিখে প্রশংসা করছেন সবাই। এখানেই একজন অভিনেত্রী আমার স্বার্থকতা। কেউ বলছেন এলিনা শাম্মী যে চরিত্রেই অভিনয় করেন না কেনো, সেটাই আপনার চরিত্র হয়ে যায়। কেউ বলছেন, আপনার থেকে এমন অভিনয়ই আশা করেছিলাম। আবার কেউ বলছেন, আপনার কাছ থেকে এমন কাজই দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। দর্শকদের এমন নিস্বার্থ ভালোবাসায় ভিজে ভিজে আমার তো দারুন আনন্দ অনুভব হচ্ছে। প্রিয়তমা দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতেই আছে, তাই আমরা প্রিয়তমা সংস্লিষ্ট সবাই অন্যরকম ভালোলাগায় ভেসে যাচ্ছি এই মুহুর্তে। এর ওপর ছবিটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আমেরিকা ও কানাডা’র ৪২টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন শুরু হচ্ছে। নিশ্চয়ই সেখানেও বাংলাদেশী এবং বাংলা ভাষাভাষী চলচ্চিত্র দর্শকদের মন জয় করবে প্রিয়তমা। এতো সাফল্যের পরও প্রিয়তমা ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে বসে দর্শক উন্মাদনা উপভোগ করা থেকে আমি এখনও বঞ্চিত রয়েছি অসুস্থতার কারণে। আশা করছি খুব শীঘ্রি আমি দর্শক সারিতে বসে তাদের ভালোবাসায় ভিজে ছবিটি দেখবো।

তুষার আদিত্য