জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধা গ্রেগরি পেকের প্রতি

গ্রেগরি পেক। মার্কিন এই অভিনেতার যে ছবিটি আমি প্রথম দেখেছিলাম সেটি ‘মবি ডিক’। আমেরিকান দূতাবাসের বাইসেন্টিনিয়াল মিলনায়তন তখন পল্টন মোড়ে। আমার কিশোর বেলা। অসাধারণ ভালো লেগেছিল। ছবিটি না ছবির অভিনেতা গ্রেগরি পেক’কে ভালো লেগেছিল সেটা বুঝার বয়স তখন হয়নি। এরপর মধুমিতায় দেখেছিলাম ‘গানস অব নাভারন’ এরপর ‘ম্যাকানাস গোল্ড’। দুটো ছবির মুল গল্প আগে থেকেই পড়া। তখনই এ টুকু বুঝেছিলাম অনেক বড়ো মাপের অভিনয় শিল্পী গ্রেগরি পেক। পুরো নাম এলড্রেড গ্রেগরি পেক। ১৯৪০ থেকেই হলিউডের এই জনপ্রিয় শিল্পী দখল করেছিলেন বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের হৃদয়। অভিনয় করেছেন ১৯৮০ সাল তক। তার ‘রোমান হলিডে’ দেখেন নি এমন ছবির দর্শক বিশ্বে খুব কমই পাওয়া যাবে। এ ছবির একটি সুর এখনো মানুষের হৃদয়ে অনুরনন তোলে। সেই সুর অনুসরণে এখনো বিশ্বের নানান দেশে গান তৈরি হয়। ১৯৬২ সালে ‘টু কিল এ মকিংবার্ড’ ছবির জন্য তিনি জিতেছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ‘অস্কার’ পুরস্কার। এ ছাড়া আরও চারবার তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ‘অস্কার’ মনোনয়ন পেয়েছেন। দ্য কিজ অব দ্য কিংডম, দ্য ইয়ারলিং, জেন্টেলম্যানস এগ্রিমেন্ট, টুয়েলভ ও ক্লক, স্পেলবাউন্ড, দ্য গান ফাইটার, দ্য ওম্যান, দ্য বয়েজ ফ্রম ব্রাজিল এসব তার বিখ্যাত ছবি। অ্যামেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট হলিউডের ধ্রুপদ চলচ্চিত্রের সেরা পুরুষ অভিনেতার যে তালিকা করেছিলো তাতে গ্রেগরি পেকের অবস্থান ১২ নম্বরে। তৎকালীন মার্কিন রাস্ট্রপতি লিন্ডন জনসন মানবহিতৈষী কাজের জন্য তাঁকে, ‘প্রেসিডেন্টশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ প্রদান করেন। গ্রেগরি পেক ১৯১৬ সালের ৫ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটে জন্মগ্রহণ করেন। গভীর শ্রদ্ধা এই শিল্পীর প্রতি।
মুজতবা সউদ