দর্শকদের কাছে নাটকের জন্য জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘আরটিভি ড্রামা’ ১০০ কোটি প্লাস ভিউজ এর মাইলফলক অতিক্রম করেছে গত ২১ জুন। ১৮ জুলাই রাজধানীর বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিও ৯৫ তেজগাঁও-এ যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেক কেটে উদযাপন করা হয় এ অর্জন। উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে আরটিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন- ‘আরটিভি মানুষের কথা বলে, আরটিভি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও সুস্থ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে। সেজন্যই আরটিভি আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বিশ্বে। ইউটিউবে ১০০ কোটি প্লাস ভিউস-এর এই মাইলফলক তার প্রমাণ। যেখানে দেশের দর্শকদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষা-ভাষী দর্শকরাও রয়েছে। নানাবিধ প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আরটিভি ও আরটিভি ডিজিটাল এগিয়ে যাচ্ছে।’
আরটিভি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু বলেন- ‘২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল আরটিভি ইউটিউব চ্যানেলটি যাত্রা শুরু করে মাত্র ৪ বছরের মাথায় ১০০ কোটি প্লাস ভিউস অতিক্রম করেছে। ২০১৫ সালে আমরাই প্রথম টেলিভিশনের ফেসবুক লাইফ শুরু করি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে টেলিভিশনগুলোর মাঝে আমরাই প্রথম ফেসবুক পেজের ‘কোটি লাইক’-এর মাইলফলক অতিক্রম করি। আমরাই প্রথম ২০২০ সালে ‘আরটিভি প্লাস’ এ্যাপ চালু করেছি। আরটিভি আজ টেলিভিশন এবং ডিজিটাল উভয় মাধ্যমে সফল।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি বলেন- ‘আরটিভি ইউটিউব চ্যানেলটির সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার কন্টেন্টের কারণে খুব দ্রুতই এই চ্যানেলটি ১০০ কোটি প্লাস ভিউস থেকে ২০০ কোটিকে অতিক্রম করবে। সম্প্রতি আরটিভিতে বেসিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমি অতিথি হিসেবে এসেছিলাম। আমি তাদের কাজের যে দক্ষতা, আন্তরিকতা এবং অসাধরণ নির্মাণ শৈলী দেখেছি, তাতে বোঝা যায় আরটিভি একটি দক্ষ ও মানসম্পন্ন টিমওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত হয়।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম এমপি বলেন- ‘জীবনকে বিকশিত করতে শিল্পবোধ ও শৈল্পিক চর্চার বিকল্প নেই। টেলিভিশনের জন্য সেই চর্চা অপরিহার্য। জাতীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে যারা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন, তাঁদেরকে আরটিভি সম্মাননা জানিয়ে আসছে। আরটিভি তার বস্তুনিষ্ঠতা এবং শৈল্পিক চর্চার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, সামনের দিনগুলোতেও তাদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন- ‘করোনা মহামারিতে আরটিভি যেভাবে সচেতনতামূলক কাজ করে আসছে তা প্রশংসার দাবীদার। আরটিভি ইউটিউবে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কন্টেন্ট প্রচার করছে বলেই দর্শকরা সেটি দেখছে, এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।’
সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন- ‘আরটিভির অনুষ্ঠানমালায় যত্মশীলতার ছাপ আমরা দেখে থাকি। শিক্ষা ও জনসচেতনতার ক্ষেত্রে তারা সবসময়ই দর্শকদেরকে তথ্য দিয়ে এগিয়ে রাখে। ইউটিউবে বাংলা কন্টেন্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই বাংলাদেশী দর্শকরা বিদেশী কন্টেন্টের উপর নির্ভর না থেকে বাংলাদেশী কন্টেন্ট দেখছে। আরটিভি সেখানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।’ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নাটক ও শিল্পসংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান শেষ হয় “আরটিভি ড্রামা’র ইউটিউব চ্যানেলের ১০০ কোটি প্লাস ভিউস মাইলফলক অর্জন” উদযাপন উপলক্ষ্যে কেক কাটার মধ্য দিয়ে।
রোমান রায়