সংগীত ভুবনের কিংবদন্তি ফেরদৌসী রহমানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা

ফেরদৌসী রহমান। সংগীত ভুবনের এক কিংবদন্তি। শিশু বেলায় তার বাবা আব্বাস উদ্দিনের কাছেই সংগীতে হাতে খড়ি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরাইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান প্রমুখ সংগীতগুরুর কাছে। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি রেডিওতে খেলাঘর নামের এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেই বয়সেই ফেরদৌসী রহমান মঞ্চে গান গাইতেন। তবে প্রথম প্রথম গাইতেন রবীন্দ্র সংগীত। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম রেডিওতে বড়োদের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। এ সময় ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, আধুনিক এবং ধ্রুপদ সব ধরনের সংগীতে তার পারদর্শীতার স্ফুরণ ঘটে। ১৯৬০ সালে ‘আসিয়া’ ছবিতে তিনি প্রথম নেপথ্য শিল্পী হিসেবে গান করেন। এরপর ১৯৮০ দশক পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৫০ ছবির নেপথ্য সংগীত শিল্পী ছিলেন। ছবিতে সংগীত পরিচালনাও করেছেন। পাশাপাশি তিনি একজন সফল উপস্থাপক। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ টেলিভিশনে “এসো গান শিখি” অনুষ্ঠানটি তিনি পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন। প্রায় ৫০০০ গানের রেকর্ড রয়েছে তার। ফেরদৌসী রহমান এই উপমহাদেশের (ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার) প্রথম টেলিভিশন সঙ্গীত শিল্পী। পেয়েছেন ‘একুশে পদক’, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার ছাড়াও লাহোর চলচ্চিত্র সাংবাদিক পুরস্কার (১৯৬৩), পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার (১৯৬৫), টেলিভিশন পুরস্কার সহ অনেক অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। ফেরদৌসী রহমান ১৯৪১ সালের ২৮ জুন, কুচবিহারে জন্মগ্রহন করেন। শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এই শিল্পীর প্রতি।
মুস্তবা সউদ