আজ বাচসাস দিবস! বাচসাস’র সকল সদস্য ও শুভার্থীদের জানাই অনেক অনেক ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। শ্রদ্ধা জানাই ওবায়েদ-উল-হক, এস এম পারভেজ, আজিজ মিসির, ফজল শাহাবুদ্দিন ও আলমগীর কবির’র প্রতি। যাঁরা ৫৩ বছর আগে আজকের এই দিনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভালোবাসার এই সংগঠন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। “বাচসাস” আমার প্রাণের সংগঠন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি দেশে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন সংগঠন। ৫৩ বছর বয়সী এই সংগঠনটির জন্ম তৎকালিন চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত। বিনোদন সাংবাদিকতা বলতে তখন চলচ্চিত্রকেই বোঝাতো। সময়ের পরিবর্তনে বর্তমানে বিনোদন সাংবাদিকতা শুধুমাত্র চলচ্চিত্রে সীমাব্দ্ধ নেই। ফলে এখন টোটাল বিনোদন জগত তথা সাংস্কৃতিক সাংবাদিকতা যারা করেন তারা প্রত্যেকেই এই সংগঠনের সদস্য হতে পারেন। তাই বাচসাসের ব্যাপকতাও এখন বিশাল।
৭০-এর দশকে ‘বাচসাস’ দেশীয় চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রথা চালু করে। শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে আমাদের চলচ্চিত্র বিশ্বের অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্রের সাথে প্রতিযোগিতামূলক নির্মাণ তথা নির্মাতা ও কলাকুশলীদের মেধা বিকাশে ‘বাচসাস পুরস্কার’ যাদু মন্ত্রের মতো কাজ করে। দেশে একের পর এক কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মান হতে থাকে।
‘বাচসাস পুরস্কার’ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রদান করা শুরু হয়। এটা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পুরস্কার। জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার এই সংগঠনের প্রতীক। এটা শক্তি ও সাহসিকতার প্রতীক। বাচসাস পুরস্কারেও এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়।
১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম ১৯৭২-৭৩ সালের চলচ্চিত্রের জন্য এ পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। তখন থেকে সেরা চলচ্চিত্র, পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা, পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, পুরুষ কণ্ঠশিল্পী, নারী কণ্ঠশিল্পী, কাহিনীকার, চিত্রনাট্য, সংলাপ, চিত্রগ্রাহক, শিল্প নির্দেশক, সম্পাদনা জন্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও টেলিফিল্ম, টিভি সিরিয়াল, টিভি নাটক, টিভি অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপনচিত্র, মঞ্চ নাটক, সঙ্গীত, নৃত্যের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এ পুরস্কার নিয়মিত দেওয়া হয়। মাঝে ৭ বছর বিরতির পর ১৯৯৫ সাল থেকে এটি আবার নিয়মিত প্রদান করা শুরু হয়। ‘বাচসাস পুরস্কার’ থেকেই সরকারী পর্যায়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রবর্তন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে আমি এই সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করি। সেই থেকে বাচসাসের সাথে আছি। বাচসাস আমার প্রাণের সংগঠন। ‘বাচসাস’র সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রেজাউল করিম রেজা