বিবাহবিচ্ছেদের পর অনেকটাই আড়ালে চলে গেলেন। কেমন আছেন নোভা ফিরোজ? ‘খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। এরপর ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে স্কুলের জন্য রেডি করি। ওকে স্কুলে দিয়ে এসে বাসার কাজকর্ম সারি, তারপর যাই অফিসে। অফিস থেকে ফিরে ছেলেকে পড়াতে বসি’ দৈনন্দিন জীবনের রুটিন এভাবেই বর্ণনা করছিলেন মডেল-অভিনেত্রী নোভা ফিরোজ। নোভা এখন সিঙ্গল মাদার। পরিচালক রায়হান খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থাকছেন নিজের পরিবারের সঙ্গে। চাকরি করছেন ‘লেভেল থ্রি ক্যারিয়ার’ নামের ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানে। সেখানে তিনি হেড অব কমিউনিকেশনস। চাকরিও বেশ এনজয় করছেন নোভা। জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবছেন কিছু? ‘এক বছর তো হয়ে গেল। পুরনো সম্পর্ক নতুন করে রোমন্থন করতে চাই না’—বললেন নোভা।
সম্পর্ক শব্দটা শুনলেই বুঝি পুরনো সম্পর্কের কথা মনে পড়ে? হাসলেন নোভা। ‘আসলে তা নয়।’ তাহলে? ‘কিছুই না, নতুন করে কিছু ভাবতে চাই না। রায়হানের সঙ্গে সম্পর্ক চুকে যাওয়ার পর বর্তমান লাইফ নিয়ে ভালোই তো আছি। সান্নিধ্যকে নিয়ে চমৎকার সময় কেটে যাচ্ছে। ও আছে বলেই জীবনটা এত বৈচিত্রময়।’ সান্নিধ্য? ‘আমার ছেলে, ওর পুরো নাম রাফাজ রায়হান সান্নিধ্য। পাঁচ বছর হতে চলল’ স্বতঃস্ফূর্ত কণ্ঠ নোভার।
অভিনয় কি একেবারেই কমিয়ে দিয়েছেন? অবাক হলেন নোভা, “না তো! সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজের খবর প্রকাশ করি না, তার মানে এই নয় যে অভিনয় করছি না। আমরা বড্ড বেশি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। যন্ত্রের ওপর বিচারের ভার ছেড়ে দিচ্ছি। এটা কিন্তু ঠিক না। বিটিভির ধারবাহিক ‘দ্য জেনারেশন’, এনটিভির ‘ভালোবাসা কারে কয়’ করছি। প্রচারের অপেক্ষায় আছে ধারাবাহিক ‘পাগলা হাওয়া’। ঈদের কয়েকটি একক নাটকেও অভিনয় করব।”
শুধু অভিনয়ই নয়, উপস্থাপনাও করছেন সমান তালে। বিটিভিতে গানের অনুষ্ঠান ‘মালঞ্চ’, বাংলাভিশনের লাইফস্টাইল-বিষয়ক শো ‘সৌন্দর্য কথা’ করছেন। চাকরির পাশপাশি অভিনয়, উপস্থাপনা, ছেলের দেখাশোনা—কিভাবে সম্ভব হচ্ছে? ‘আমি অভিনয় করি, এটা অফিস জানে। সে কারণে অফিস থেকে অনেক বিষয়েই ছাড় পাই। বাসায় বসে অনেক কাজ এগিয়ে নিই। আবার অফিসের প্রয়োজনে আমাকে বাড়তি সময় কাজ করতে হয়। নিজেকে অনেক দিন ধরে ছুটিই দিই না, দিতেও চাই না।’ সম্প্রতি বিজ্ঞাপনী সংস্থা টোস্টার প্রোডাকশনে প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। নোভা বলেন, ‘কাজে ডুবে থাকতেই আমার যত আনন্দ।’
আলমগীর কবির