“নায়করাজ”। এই শব্দটি উচ্চারনের পর নাম বলার প্রয়োজন পড়ে না। বাংলাদেশের তো বটেই, পশ্চিম বাংলার মানুষেরাও বুঝে যান কার কথা বলা হয়েছে। এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বুনিয়াদ রচনায় তাঁর অপরিসীম অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নায়করাজ রাজ্জাক একাধারে অভিনয় শিল্পী, প্রযোজক এবং পরিচালক। তাঁর নির্মাণ করা চলচ্চিত্র যেমন ব্যাবসা সফল হয়েছে, তেমনি সুনির্মিত ছবি হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। পেয়েছেন ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে নায়ক রাজ রাজ্জাক আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এ ছাড়াও বেশ ক’বার বাচসাস সহ পেয়েছেন অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি গঠিত হবার পর তিনি ছিলেন প্রথম সভাপতি। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেছেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। আজ ২৩ জানুয়ারি নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন। শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা এই প্রিয় মানুষটির জন্য। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসীব করেন।
মুজতবা সউদ