বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে তোলপাড়

১২২ জন শিল্পীর বিবৃতিকে ঘিরে সঙ্গীতাঙ্গন এখন তোলপাড়। কয়েকদিন আগে ১২২ জন শিল্পী তাদের ওয়াল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দিলেন, তারা অনলাইন ভিত্তিক আয়োজনে বিনা পারিশ্রমিকে গাইবে না। উল্লেখ্য, সব তরুন প্রজন্মের শিল্পীদের নামের আগে ছিলো, বাংলাদেশের কিংবদন্তী শিল্পী ফেরদৌসী রহমান, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, তপন চৌধুরী, শুভ্র দেব, এস আই টুটুলের মতো অনেক সিনিয়র শিল্পীর নামও।

উত্তপ্ত হয়ে গেলো সোশ্যাল মিডিয়া । ফলশ্রুতিতে, পরদিন গীতিকার জুলফিকার রাসেল, গীতিকার ও সুরকারের অধিকার নিয়ে ৫ দফা দাবি পেশ করলেন এইসব শিল্পী বরাবর। যার মধ্যে ছিলো, গীতিকার সুরকারের নাম, সম্মান এবং সম্মানীও যেনো এই শিল্পীরা মাথায় রাখে। এপর্যন্ত ঠিক ছিলো। তার দুদিন পরই আগুনে ঘি ঢাললেন শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। বল্লেন, সম্মানী চেয়ে সঙ্গীত জগতের সম্মান ডুবিয়েছে এই তরুন শিল্পীদল।

ব্যস। শুরু হয়ে গেলো তরুন প্রজন্মের উত্তাল রক্তের উত্তেজনা । তাদের দাবী হলো, যিনি সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি তাদের কখনো পথ দেখাননি। সিনিয়ররা, পরবর্তীদের জন্য এক হয়ে কিছু করে রাখেননি। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থানে, তাদের দাবি টা বড়দের জন্য অসম্মানের কারন কেন হবে, এটা তাদের প্রশ্ন।

গীতিকার এবং সুরকারদের অধিকারের প্রশ্নে তাদের প্রশ্ন, রয়ালিটি সিস্টেম কেন এখনো চালু হয়নি? এমনি প্রশ্নের সামনে, পুরোনো নতুনের দ্বন্দ্ব লড়াইয়ে, সংগীতজগতে চলছে অস্থিরতা। যা থামানোর বদলে, অভিভাবকতুল্য শেখ সাদী খান দিলেন নতুন বিবৃতি “ নতুনরা পুরনোদের গান কাভার করতে পারবে না।” এতে করে, উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। বড়দের অভিযোগ, ছোটরাও বেয়াদবের মতো নানারকম পোস্ট দিচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, কোনরকম শান্তিপূর্ন সমাধানে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না। বরং কিছু দলাদলি চলছে, যা হতে পারে, আরো খারাপ কিছু । সংগীতের স্বনামধন্য মানুষগুলো, কঠোর না হয়ে, বিবেচনাবোধ থেকে যদি সঠিকভাবে এগিয়ে আসতেন, তবে হয়তো এই পরিবেশের জন্মই হতো না।

শুভকামনা রইলো বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের জন্য।

আবদুল জাববার খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
বসুধা বিল্ডার্স লিঃ