অসহায় মানুষের পাশে সাকিব সনেট ও ববি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে মানুষ। অন্য সব লড়াই হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করতে হলেও এ লড়াই একটু ভিন্ন রকম। ছোঁয়াচে এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে হলে সামাজিক দুরত্বের বিকল্প নেই। তাই এ লড়াইয়ের একটাই স্লোগান ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন’। তবে, মানুষের দুর্যোগে শিল্পী মন কি আর চুপচাপ ঘরে বসে থাকতে পারে? না শিল্পী মনও চুপচাপ নেই। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার ও প্রশাসন, দেশের নানা পেশাজীবী মানুষদের পাশাপাশি দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও নানানভাবে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক শোবিজ তারকারাই নিজেদের জায়গা থেকে সাধারণ জনগণকে সচেতন করছেন। আবার অনেকেই রাস্তায় নেমে পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষের। গত বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাতে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ৫০০ জন ছিন্নমূল শিশু এবং বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন বিশিষ্ট প্রযোজক ও পরিচালক সাকিব সনেট এবং চিত্রনায়িকা ববি।তাদের এই কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে সহায়তা করেছেন ডাকসু সদস্য তানবির হাসান সৈকত।
এই বিষয়ে পরিচালক ও প্রযোজক সাকিব সনেট বলেন, ‘দেশে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি।আমরা সবাই এখন চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছি। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ স্থবিরতা বিরাজ করছে।এমন সময়ে দেশের গরীব দিনমজুর মানুষগুলো পড়েছেন বিপদে। তারা এখন প্রায় অনাহারে দিনযাপন করছেন। আমরা যারা খেয়ে পড়ে ভালো আছি,এইসময়ে আমাদের উচিত এই অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানো। নিজের বিবেকর তাড়নায় আজ এই অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের এই সামান্য কিছু যদি তাদের জন্য কিছু হয়,সেটাই আমাদের কাছে প্রশান্তি।’
চিত্রনায়িকা ববি বলেন, ‘দেশে এমন বিপদের সময় আমাদের সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। আমি আমার সাধ্যমত তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এইসময়ে সমাজের বিত্তবানদের আরো এগিয়ে আসা দরকার। তাহলে এই অসহায় মানুষগুলো কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।’
ডাকসু’র সদস্য তানবির হাসান সৈকত বলেন,’আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন বন্ধুরা মিলে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এড়িয়াতে গরীব-অসহায় মানুষদেরকে দুইবেলা করে খাবার দিচ্ছি। এবং এখানে আমাদেরকে বিভিন্নজন বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। আজ সনেট ভাই ও ববি আপু তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতে ৫০০ জন ছিন্নমূল এবং অসহায় মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন। সমাজে তাদের মতো আরো অনেকই এগিয়ে আসা দরকার। তাহলে এই গরীব মানুষগুলো আর অনাহারে দিন কাটাবে না।’
উল্লেখ্য,বিগত ১৮ দিন যাবত প্রতিদিন ২ বেলা করে টিএসসির চত্বরে করোনাভাইরাসের কারণে অনাহারী মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছে তানবির হাসান সৈকত এবং তাঁর বন্ধুরা।বিভিন্ন মানুষের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিদিনই এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।তাদের এই কার্যক্রম ততদিনই চলবে, যতদিন না করোনামুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
রোমান রায়