‘আসুন ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে দাঁড়াই’

একজন তরুন চেষ্টা করলে চলচিত্রের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন হয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু একজন তরুন চাইলেই নিরাপদ সড়ক চাই এর ইলিয়াস কাঞ্চন হতে পারবে না। এরজন্য ত্যাগ দরকার হবে। সাহসী হতে হবে। নিরেট সত্য কথা বলতে হবে। সড়ক মাফিয়ার কাছে মাথানত করা চলবে না। তা হলেই সম্ভব। কাঞ্চন হওয়া। নইলে নয়। চিন্তা করে দেখোন তো, গত ২৫টি বছর এই মানুষটি একা ,স্রেফ একা লড়াই করে যাচ্ছেন “নিরাপদ সড়ক চাই” দাবী নিয়ে।
ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন ১৯৯৩ সালের অক্টোবরের ২২ তারিখ বান্দরবন যাওয়ার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। এরকম তো আরো হাজার মানুষ প্রতি বছর মারা যাচ্ছে সড়ক দূর্ঘটনায়। কই তাদের কোন স্বজনকে কি দেখেছেন “আমার মত যাতে আর কারো স্বজন সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত না হয়” এই পণ নিয়ে রাস্তায় নামতে? স্ত্রীকে হারানোর সময়ে ইলিয়াস কাঞ্চন ছিলেন বাংলাদেশের তখনকার নাম্বার ওয়ান নায়ক। এর কয়েক বছর আগে মুক্তি পায় বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ব্যবসা সফল ছবি “বেদের মেয়ে জোছনা”।
প্রযোজক- পরিচালকদের লাইন লেগে থাকতো তখন ইলিয়াস কাঞ্চনকে তাদের সিনেমায় নায়ক বানানোর জন্য। কিন্তু এই ইলিয়াস কাঞ্চন নামের মানুষটি আর সিনেমায় নায়ক হতে চান নাই,উনি “নিরাপদ সড়ক চাই” শ্লোগান সাথে নিয়ে সত্যিকার নায়ক হওয়ার জন্য রাস্তায় নেমে গেয়েছিলেন। যার ফলে উনাকে বারবার পরিবহন মাফিয়াদের হুমকি,নোংরামির শিকার হতে হয়েছে।
তারপরেও এই মানুষটি থামেননি। আমরাও চাই ইলিয়াস কাঞ্চন আপনি থামবেন না। চলচ্চিত্র শিল্পের লোকজনের উচিত তাদের আপন মানুষ হিসেবে তার পাশে এখনই দাঁড়ানো। তীব্র প্রতিবাদ করা যারা তার অপমানজনক পোষ্টার করেছে তার বিরুদ্ধে। আমরা যারা নিরাপদ সড়ক চাই তাদেরও উচিত এই মুর্হূতে ঘুরে দাঁড়াতে। না হলে পরিবহন মাফিয়ারা তাদের বিষদাঁত দিয়ে আরো বেগে পরিবহন খাতকে অচল করে দিবে।
মনিরুল ইসলাম