গত দুই বছর ধরে মুম্বাইয়ে বাস করছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী সিমলা। ক্যারিয়ারে বদল আনতেই তার এই স্থান ও ইন্ডাস্ট্রি পরিবর্তন। নিজেকে বলিউডের যোগ্য ভাবেন বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এর আগে তিনি জানিয়েছেন। এর মধ্যেই ‘সফর’ নামে একটি হিন্দি ছবির কাজ শেষ করেছেন।
আরো কয়েকটি ছবির কাজ শিগগির শুরু হওয়ার কথা। তবে মায়ের অসুস্থতার জন্য ২৫ আগস্ট হঠাৎ দেশে ফেরেন তিনি। ১৫ অক্টোবর আবার মুম্বাই ফিরে যাবেন ‘ম্যাডাম ফুলি’ অভিনেত্রী। এবার গিয়ে নায়ক গোবিন্দর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিতব্য একটি ছবিতে অভিনয় করবেন। সিমলা বলেন, ‘ঢাকায় ফেরার আগে ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। গোবিন্দ দাদা নিজেই পরিচালনা করবেন। এখন চলছে চিত্রনাট্যের কাজ। তারপর ঠিক হবে নাম ও অন্যান্য শিল্পী-কুশলী। আসলে গোবিন্দ দাদার পরিবারের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। আমাকে তারা পরিবারেরই একজন মনে করেন। আমিও তাদের আমার অভিভাবক মানি।’
ম্যাডাম ফুলি খ্যাত এই নায়িকা বলেন, আমি গোবিন্দদা’র সঙ্গে ‘সমাধি’ নামের একটি সিনেমায় কাজ করেছিলাম। সেটা ছিল কলকাতার বাংলা সিনেমা। তবে আমাদের সেই সিনেমা সফল হয়নি। তাই এবারের প্রোজেক্ট বেশ গুছিয়ে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। সিমলা গীতিকার-সুরকার মিল্টন খন্দকারের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালনায় ম্যাডাম ফুলি চলচ্চিত্রে অভিনযের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। এই চলচ্চিত্রে সিমলা ও ফুলি দুটি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি তার অভিষেক চলচ্চিত্রেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৯ সালে তিনি সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত গঙ্গাযাত্রা চলচ্চিত্রে ফেরদৌস আহমেদ ও সাদিকা পারভিন পপির সাথে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল রূপগাওয়াল, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ।
রোমান রায়