শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শাকিব-তায়েবের প্যানেল

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের লড়াই ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, দেশের চলচ্চিত্রের শিল্পীদের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম এই শিল্পী সমিতি। এটাকেই ধরা হয় চলচ্চিত্র শিল্পীদের আঁতুরঘর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ অক্টোবর এফডিসি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। তবে চূড়ান্ত বিষয়টি খুব শিগগির ঘোষণা করা হবে বর্তমান কমিটি থেকে।
এদিকে আগামী মাসের নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরী হয়েছে নানা ধরণের জল্পনা কল্পনা। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সুপারস্টার শাকিব খান ও নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অংশ নিচ্ছেন আরেক সুপারহিরো ডি এ তায়েব। দুজনই শিল্পীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। ইতিপূর্বে শাকিব খান ও ডি এ তায়েব তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দুঃস্থ, অসহায় কিংবা অসুস্থ শিল্পীদের প্রতি। এমনকি চিত্রনায়ক ডি এ তায়েব বেশ কয়েকবার অসুস্থ শিল্পীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকেও অনুদান পাইয়ে দিয়েছেন যার পরিমান কোটি টাকার উপরে। তাকে নিয়ে নির্মিত সংঘঠন ডি এ তায়েব ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাধ্যমে তিনি প্রতি বছর ঈদ, পহেলা বৈশাখ, দূর্গাপূজা সহ বছরের বিভিন্ন সময়ে এফডিসিতে তার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অকৃপণ ভাবে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কেউ কখনো সহযোগিতা চেয়ে ডি এ তায়েবের থেকে ফেরত যান নি এমন এফডিসির প্রায় সবার মুখে। অন্যদিকে সভাপতি পদে সুপারস্টার শাকিব খান শিল্পীদের যেকোনো ধরণের সমস্যায় সবার আগে এগিয়ে গিয়েছেন তার জায়গা থেকে। এর আগেও দুবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সাথে। এ সবকিছু মিলিয়ে তাদের এই প্যানেলকে ঘিরে তৈরী হয়েছে আগ্রহ। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মতে, এ দুজন একত্রিতভাবে শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে আসলে পুরো প্রেক্ষাপটটি পাল্টে যাবে। শিল্পীদের বহুদিনের আকাঙ্খা পূরণ হবে সেই সাথে বর্তমানে যে সব সমস্যা বিদ্যমান তারও সমাধান হবে এই প্যানেলের নেতৃত্বে। এদিকে শাকিব-তায়েব প্যানেলের সফলতা কামনা করে “ডিএ তায়েব ফ্রেন্ডস ক্লাব”- কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি ইন্জিনিয়ার জাহান এম এ রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব শরীফ মোহাম্মদ সারোয়ার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মাঈনউদ্দীন সুমন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গেলবারের নির্বাচনের সময় দেওয়া ইশতেহারের বেশির ভাগ প্রতিশ্রæতি এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি বর্তমান কমিটি। জানা যায়, মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলের শপথ নেয়ার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মেয়াদ দুই বছর পার হয়ে যায় এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে। নিয়ম অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হয়। তবে সে সময়ও এরইমধ্যে পার হয়ে গেছে।
রোমান রায়