পোশাকহীন আমাকে দেখতেই আগ্রহী মানুষজন

পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখে জীবনে নেমে এসেছে ঘোর আঁধার। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথার খোলসা করলেন পর্নদুনিয়ার উজ্জ্বলতম মুখ মিয়া খালিফা। পর্ন দুনিয়া ছেড়েছেন অনেক দিনই হল। কিন্তু সেই দুনিয়া যেন এখনও তাকে ছায়ার মতোই ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে বলে জানালেন মিয়া।
সেই সাক্ষাৎকারে মিয়া বলেছেন, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই আমি ছেলেদের কাছে আকর্ষিত হওয়ার জন্য ছটফট করতাম। করতাম কারণ, আমার বিশাল ওজনের জন্য একটি ছেলেরও পাত্তা পেতাম মা।’
কিন্তু এত ওজন কমলে কিভাবে? সাংবাদিকের এই প্রশ্নে মিয়ার উত্তর, ‘কলেজের প্রথম বর্ষ থেকে হুট করেই আমার ওজন কমতে শুরু করে দিল। ওজন ঝড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমার স্তন নিয়ে আমি আরও সচেতন হয়ে পডেছিলাম। প্রায় ৫০ কেজিরও বেশি ওজন ঝড়িয়ে ছিলাম আমি। আর তারপরেই মানুষজন আমার চেহারা, আমার সৌন্দর্য্যের ভূয়সী প্রশংসা করতে শুরু করে দেন। আর সেই কথাগুলি শুনতে আমার বেশ ভালোই লাগত।’
কিন্তু এই দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশই বা হল কীভাবে? তাতে মিয়ার সোজাসাপটা উত্তর, ‘তুমি খুবই সুন্দর। মডেলিং করতে চাও তুমি? তোমার শরীরের গঠনও খুব সুন্দর! ন্যুড মডেলিংয়ে পা রাখা উচিত তোমার! আর তারপরেই ধীরে ধীরে স্টুডিয়োগুলোর অন্দরে যখন ঢুকতে শুরু করলাম, তখন দেখলাম সব্বাই যেন আমার সঙ্গে খুবই ভালো ব্যবহার করছেন। তারপরই ধীরে ধীরে…’। সে দুনিয়ায় আর একটি ছবিও শুট করেন না তিনি। কিন্তু সেই দুনিয়া যেন প্রতি পদে পদে তাকে ধাওয়া করে চলেছে। এক কালের সবচাইতে বেশি পর্ন দুনিয়ার সব থেকে পপুলার অভিনেত্রীর আক্ষেপ, ‘এখনও রাস্তা ঘাটে হাঁটাচলা করলে আমার মনে হয় যেন, লোকে আমাকে দেখছেন না। লোকের আগ্রহ সেই আমার আপাদমস্তক ভিতরের শরীরটা। পোশাকহীন মিয়াকে দেখতেই আগ্রহী মানুষজন। আমার জামা-কাপডের অন্দরমহলই যেন দেখে যাচ্ছেন মানুষ। আর বিষয়টায় আমার বেশ লজ্জা লাগে। এতে আমার মনে হয় যেন, আমার গোপনীয়তা আর যেন আমার হাতে নেই।’ কিন্তু হিজাব পরে এমন ভিডিও শুট করতে রাজী হলেন কেন? মিয়া বললেন, ‘আমি আক্ষরিক ভাবে তাদের বলেছিলাম, তোমরা আমাকে মেরে ফেলবে। তাদের তখন হাসির ফোয়ারা উঠেছিল।’ কিন্তু ওদের মুখের উপর না বললে কী এমন অসুবিধা হত? ভীতু মিয়া খালিফা বললেন, ‘ভয়! আমাকে ভয় দেখানো হয়েছিল। আমি খুবই ঘাবডে গিয়েছিলাম। ওই কয়েকটা দিন খুবই ভয়ের মধ্যে দিয়ে দিনযাপন হত।’
অঞ্জন দাস