আহত মানুষটি ড. হাছান মাহমুদ

২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পান, কিন্তু এখনো ৪০ টিরও অধিক স্প­ন্টার শরীরে বহন করে চলেছেন। ৩৬১.৫৪ বর্গকিলোমিটারের রাঙ্গুনিয়ার গন মানুষের নেতা (ভোটের হিসেবে রাঙ্গুনিয়ার মূলত ব্যাপ্তিটা আরো ব্যাপক), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সফল একজন তথ্যমন্ত্রী। ছাত্রজীবনে ছিলেন চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক, ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি।
পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পিএইচডি করতে বেলজিয়াম গমন করেন। পিএইচডি শেষে নেত্রীর একান্ত সহকারীর দায়ীত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হন। ১/১১ এর সময় যখন সব বাঘা বাঘা নেতা কেউ কারাগারে কেউবা চাচা আপন প্রান বাঁচার তাগিদে পলায়ন করেন তখন দলের করুন মুহূর্তে যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে দলের জন্য ভূমিকা রেখে গেছেন, দলকে জনসম্পৃক্ত রাখতে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ২০০৮ এর নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়ার মানুষ যখন কুখ্যাত রাজাকার, রাঙ্গুনিয়াতে সন্ত্রাসী জনপদের প্রবক্তা সাকা চৌধুরীকে বিতাড়িত করতে একজন ত্রাতা খুঁজছিলেন তখন ত্রাতা হিসেবে নেত্রী দলের মনোনয়ন দিলেন এই ড. হাছান মাহমুদকে। যে রাঙ্গুনিয়া আজ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের মিছিলে, যে রাঙ্গুনিয়া আজ পর্যটন নগরী হওয়ার পথে, যে রাঙ্গুনিয়ায় আজ না খেয়ে কেউ মরে না, যে রাঙ্গুনিয়ায় আজ দলের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে যে কেউ ভয় পায় (কারণ করলে তড়িৎ ব্যবস্থা গৃহিত হয়)।
রোমান রায়