শেখ কামাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর বড়ো ছেলে। ছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযু*দ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি মহম্মদ আতাউল গনি ওসমানী’র এডিসি হিসেবে কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতার পর এ দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে নতুন ছকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন শেখ কামাল। ঢাকার শাহীন স্কুলে পড়ার সময়ই স্কুলের প্রতিটি খেলায় ছিলেন পরিচিত মুখ। ফাস্ট বোলার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন। আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে খেলতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর হয়েছিলেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বাস্কেটবল টিমের ক্যাপ্টেন। স্বাধীনতার পর তাঁর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় দ্রুত প্রান ফিরে পেয়েছিলো ফুটবল, ক্রিকেট, হকি সহ দেশের ক্রীড়াঙ্গন। আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো শেখ কামালের হাতেই। শুধু খেলাধুলা নয় সংগীত, আধুনিক নাট্যচর্চা, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা সবখানেই তাঁর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় পেয়েছিলো প্রাণ। জড়িয়ে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক গ্রুপ থিয়েটার “নাট্যচক্রে”। অসাধারণ ভালো অভিনয় করেছেন তিনটি নাটকে। ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’ করে বাংলা গানে এক নতুন ধারা সৃস্টি করেছিলেন। ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই এর মত ভিন্ন ধারার জনপ্রিয় শিল্পীরা তৈরি হয়েছিলেন এই শিল্পী গোষ্ঠীর মাধ্যমেই। কিন্তু ক্রীড়া ও সংস্কৃতির এই অগ্রযাত্রাও রু*দ্ধ হয়ে গেছিলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত পৃথিবীর ঘৃ*ন্য, নৃশংসতম, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে। আজ ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে, প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ যেন শহীদের মর্যাদায় তাঁকে বেহেশত নসীব করেন।
মুজতবা সউদ