শ্রেয়া ঘোষাল। আদি নিবাস (দাদার বাড়ি) বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার হাসাড়া গ্রামে। তার বাবা, তড়িৎ প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ ঘোষাল কর্ম সুত্রে বসবাস করতেন ভারতে। সে দেশেই জন্মগ্রহণ করেন শ্রেয়া ঘোষাল। বাংলাদেশেও এসেছিলেন। সে সময় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অকপটে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে তার নিজের দেশ মনে হয়। এই উপমহাদেশের সংগীত ভুবনে শ্রেয়া ঘোষাল এখন দেদীপ্যমান। না, লতা মংগেশকার, রুনা লায়লা, আশা ভোষলে, সাবিনা ইয়াসমিন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, গীতা দত্ত, আংগুর বালা দেবী, শামসাদ বেগম এদের মাপকাঠিতে তাকে ফেলা যাবেনা। আসলে শ্রেষ্ঠ বিষয়টির মাপকাঠি হয়ও না। তবে শ্রেয়া ঘোষালের বেলায় শুধু ভালো বলেও থেমে থাকাটা ঠিক হবেনা। বরং, শ্রেয়া ঘোষালের ক্ষেত্রে “শ্রেয়” শব্দটাই বেছে নেয়া শ্রেয়। তার গান শুনে ভালো লাগেনি এমন মানুষ এই উপমহাদেশে কম। বাংলা ভাষা ছাড়াও তিনি হিন্দি, নেপালি, তামিল, ভোজপুরি, তেলুগু, ওড়িয়া, গুজরাতি, মালয়ালম, মারাঠি, কন্নড়, পাঞ্জাবি ও অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন এবং নিজেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি চারবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারবার কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুইবার তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, সাতবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও দশবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেছেন। তিনি পাঁচবার ফোর্বস জরীপে ভারতের শীর্ষ ১০০ তারকার তালিকায় স্থান করে নেন। ২০১৭ সালে প্রথম ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে মাদাম তুসো জাদুঘরে শ্রেয়া ঘোষালের মোমের মূর্তি স্থাপিত হয়। ১২ মার্চ, শ্রেয়া ঘোষালের জন্মদিন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা তাকে।
মুজতবা সউদ