ম হামিদ। বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার নামটি উচ্চারনের পর শিল্প ও সংস্কৃতি অংগনের মানুষের কাছে কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। এ দেশে আধুনিক নাট্য আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব ম হামিদ। স্বাধীনতার পর ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক থাকা কালে তাঁর উদ্যোগেই ‘অপরাজেয় বাংলা’র নির্মাণ শুরু হয়, যা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাঁর উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় নাট্যচক্র। যা এ দেশে নাট্যচর্চায় নতুন মাত্রা এনে দেয়। পরবর্তীতে বিসিএস তথ্য ক্যাডারে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সংগে কাজ করেছেন। সে সময় সরাসরি রাজনীতি না করলেও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির সংগে থেকেছেন। মুখোমুখি হয়েছেন নানান প্রতিকূলতার। নিমকো, বাংলাদেশ টেলিভিশন, এফডিসিতে পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অবসরের পরেও চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। এখনও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। বলা যেতে পারে আজীবন স্বাধীনতার পক্ষ শক্তির এক বীর যোদ্ধা ম হামিদ। অমায়িক, সজ্জন, স্বল্পভাষী এই মানুষটির সংগে দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের পরিচয়ে কখনও তাকে কারো সংগে রেগে বা উচ্চস্বরে কথা বলতে দেখিনি। নাটকে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন শিল্পকলা পদক। এছাড়া বদরুদ্দিন হোসেন স্মৃতি পুরস্কার সহ আরও অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। যদিও হামিদ ভাইয়ের জন্ম হয়েছিলো ১৫ নভেম্বর কিন্তু স্কুলে ভর্তি হবার সময় অভিভাবক ও শিক্ষকরা বয়সের হিসেব নিকেষ কষে লিখে দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। তাই, এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রাতিষ্ঠানিক জন্মদিন ১ এপ্রিল। শুভেচ্ছা হামিদ ভাই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন জীবনের প্রতিটি বছর।
মুজতবা সউদ