আমজাদ হোসেন। সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অংগনে উজ্জ্বল একটি নাম। ১৯৪২ সালে জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকেই ছড়া লিখতেন আমজাদ হোসেন। তার প্রথম কবিতা ছাপা হয় ভারতের দেশ পত্রিকায়। ১৯৬১ সালে, ‘তোমার আমার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি চলচ্চিত্রে সংশ্লিষ্ট হন। তারপর সহকারী পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা, গীতিকার, পরিচালক, প্রযোজক পাশাপাশি লেখক আমজাদ হোসেন একদিন হয়ে উঠলেন শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অংগনের বিশাল এক মহীরুহ। পেয়েছেন ‘একুশে পদক’। ছয়টি শাখায় মোট বারো বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এক আয়োজনে একসাথে পাঁচটি পুরস্কারও পেয়েছেন। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার। আরও অনেক অনেক সব পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। এছাড়া সাহিত্যের জন্য আমজাদ হোসেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, দুই বার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার। আমার কিশোর বেলায়ই চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন করতে গিয়ে পরিচয়। “গোলাপি এখন ট্রেনে” ছবির পর থেকেই গড়ে উঠেছিলো সুসম্পর্ক। শ্রদ্ধা এবং স্নেহের। শিক্ষক এবং ছাত্রের বন্ধুত্বের মতো। তিনি, একজন আমজাদ হোসেন, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে প্রয়াত হন। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি তাঁকে। প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ যেন আমজাদ ভাইয়ের সকল গুনাহ মাফ করেন এবং তাঁকে বেহেশত নসীব করেন।
মুজতবা সউদ