নতুনদের সাথে এখন থেকে কাজ করবেন ফারিয়া শাহরিন

ফরিদ একজন অভিনয় শিল্পী। বিভিন্ন রকমের চরিত্রে অভিনয় করে সে। কখনো পাগলের চরিত্রে, কখনো অন্ধ, কখনো খোঁড়া ইত্যাদি নানা রকম চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে ভিক্ষাবৃত্তি করে। ফরিদের বউ জুলেখা প্রায়ই নিষেধ করে ভিক্ষা না করার জন্য। ফরিদ এক সময় যাত্রাপালায় কাজ করেছে। অভিনয় তার বড্ড নেশা। অভিনয়টা সে ছাড়তে পারেনি। প্রতিদিন অভিনয় করে ভিক্ষা করে যে টাকা পায় সেটা তার অভিনয়ের স্বীকৃতি। অভিনয় করে তার সাথে জীবন চালাতে গেলে বউয়ের মুখে ভাত তুলে দিতে হলে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া আর কোন উপায় খুঁজে পায়না ফরিদ। অভিনয়ও থাকলো, ইনকামও থাকলো। ফরিদের বউ জুলেখার এসব ভালো লাগেনা। জুলেখা চাইলেই অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখী হতে পারতো। এক সময় ফরিদ তার অভিনয়ের স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশের নাম করা এক পরিচালক তার চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে সুযোগ পায়। গাজীপুরের বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শ্যুটিং হয়। মেহরাব জাহিদের গল্প ভাবনায় আহমেদ ফারুকের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন কাজী সাইফ আহমেদ। প্রযোজনা করেছেন মারুফ আহমেদ খান রিজভী। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া শাহরিন, সালমান শাহরিয়ার, চাষী আলম, সবুজ, সিব্বিরসহ আরও অনেকে। খুব শীঘ্রই নাটকটি প্রচারিত হবে। নির্মাতা বলেন আমি একটু ভিন্ন ধারার কাজ করতে পছন্দ করি। একজন ভিক্ষুকের অভিনয়ের নেশাটা আছে। আর সে যখন অভিনয় করার সুযোগ পায় না তখন রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে অভিনয়ের স্টাইলে। একেক দিন একেক স্টাইলে ভিক্ষা করে। এভাবে তার অভিনয়ের ক্ষুধা মেটায়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন চাষী আলম ভাই। এখানে একজন চলচ্চিত্র পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ফারিয়া শাহরিন এই প্রথম ভিক্ষুকের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ফারিয়া শাহরিন বলেন নাটকের গল্পটি ভিন্ন ধারার। এখানে আমি ভিক্ষুকের বউ এর চরিত্রে অভিনয় করেছি। চেষ্টা করেছি ভালো করতে। এখানে আমার বিপরীতে ভিক্ষুকের চরিত্রে অভিনয় করেছে সালমান। নতুন হিসেবে সে ভালোই করেছে। আমি তো আগেই ঘোষনা দিয়েছি যে নতুনদের সাথে এখন থেকে কাজ করব।
আজিজুল ইসলাম রনি