নাজমী জান্নাত। একাধারে তিনি একজন মডেল, উপস্থাপিকা, ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মূলত তিনি উপস্থাপনা দিয়ে সবার নজর কাড়েন। মডেল হয়েছেন বেশ কিছু নামি-দামি পণ্যের বিজ্ঞাপন চিত্রে। করোনার কারণে গত দেড় বছর কাজ থেকে দূরে ছিলেন এই উপস্থাপিকা। তবে ঘরবন্দী সময়টি অলস না কাটিয়ে উপস্থাপনা ও সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। দীর্ঘ বিরতি শেষে ফিরছেন নাজমী জান্নাত। চলতি মাসেই ফটোশুট আর উপস্থাপনা দিয়ে কাজে ফিরছেন তিনি।
এনটিভি, চ্যানেল আই, এশিয়ান টিভি, আরটিভি, এটিএন বাংলা, গাজী টিভি, একুশে টিভি সহ প্রায় সবগুলো চ্যানেলে উপস্থাপনা করেছেন তিনি। টিভি অনুষ্ঠানের বাইরে উপস্থাপনা করেছেন মিস ওয়ার্ল্ড, মিসেস ইউনিভার্স, জয় বাংলা কনসার্ট, ফুটবল টুর্নামেন্ট সহ নানান অনুষ্ঠান।
ঘরবন্দী সময় বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রমোশন করেছেন তিনি। ব্যান্ডগুলোর মধ্যে সব মোবাইল কোম্পানি সহ বিভিন্ন পণ্যের প্রমোশন করেছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই পণ্যেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছাতে কাজ করেছেন আলাপকালে এমনটাই জানান।
নাজমী জান্নাত বলেন, করোনার কারণে সব শো-গুলো বন্ধ হয়ে যায়। ঘরবন্দী সময়টি সামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলাম৷ নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় ফের সব টিভি চ্যানেলের শো শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু কাজ নিয়ে কথা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই কাজে ফিরছি।
যোগ করে তিনি বলেন, আমার উপস্থাপনা করতে অনেক ভালো লাগে। উপস্থাপনা খুব উপভোগ করি। তবে মডেলিং, ডিজাইনিং ও শিক্ষিকতা করতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ফ্যাশন সচেতন নাজমী জান্নাদের ফেসবুকে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার আর ইনস্টাগ্রামে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার অনুসারী রয়েছে। তার ভক্তরা তাকে অভিনয়ে দেখতে চান। ভক্তদের মন রক্ষার্থে অভিনয়ের কথা ভাবছেন এই মডেল।
নাজমী জান্নাত বলেন, শুরু থেকেই কাকতালীয়ভাবে আমার অনুসারী সংখ্য বেড়ে যায়। যখন দেখলাম একজন সাধারণ মানুষ জানা সত্ত্বেও মানুষ আমাকে খুব পছন্দ করে তখন নিজেকে সামাজিক মাধ্যমে সরব রাখি। প্রতিনিয়ত অনুসারীরা চাচ্ছেন আমি যেন অভিনয়ে আসি। মিডিয়ার শুরু থেকেই নাটক-সিনেমায় কাজের প্রম্তাব পাচ্ছি। তবে কখনও আগ্রহ দেখায়নি। তবে ভক্তদের কথা চিন্তা করে এখন অভিনয়ের কথা ভাবছি। ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ যে মাধ্যমই হোক না কেন কাজ করতে চাই।
নাজমী রাজধানীর উত্তরা ইউনিভারসিটিতে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের শিক্ষিকা। এরই মধ্যে কাজ করেছেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে। তার মধ্যে অন্যতম ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমা। এ সিনেমায় তার কাজ বেশ প্রশংসিত হয়।
রোমান রায়