সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য নিয়ে নির্মিত ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রটি। গতকাল শনিবার হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ আগস্ট ভারতের নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এক আলোচনা সভা আয়োজন করেছে। এ সভা শেষে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮ টায় স্টোরি স্প্ল্যাশ প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়েছে।
এই চলচ্চিত্রটির পরিচালক শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার মোঃ সেলিম খান। আর প্রযোজক পিংকি খান। ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্ত খান। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী রেনুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছবিটি সেন্সর বোর্ডে কয়েক দফা প্রদর্শনের পর মুক্তির অনুমতি পায়। এর আগে ইতিহাসভিত্তিক এ চলচ্চিত্রটির ট্রেইলার শাপলা মিডিয়া, ভয়েস টিভি ও সিনেবাজ অ্যাপসের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে সবার জন্যে উন্মুক্ত লাইসেন্সে প্রকাশ করা হলে ব্যাপক সাড়া জাগে। সিনেবাজ অ্যাপে বিনামূল্যে এ চলচ্চিত্রটি দেখার ব্যবস্থা করেছে শাপলা মিডিয়া।
এই চলচ্চিত্রটি এরই মাঝে দেশ ব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইতিহাসভিত্তিক চলচ্চিত্রটি এরইমধ্যে সারাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে গেল ২৭ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার মোঃ সেলিম খান জানান, বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন। এই মহান নেতার জীবনটাই বর্ণাঢ্য ইতিহাস আর গৌরবের নানা অধ্যায়ে পরিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোরও সবার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তাই আমরা নির্মাণ করেছি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক পিংকি খান জানান, এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর জীবনের কথা। চলচ্চিত্রটি পরিবেশনায় রয়েছে শাপলা মিডিয়া। ইতিহাসভিত্তিক চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন শামীম আহমদে রনি। ‘টুঙ্গি পাড়া মিয়া ভাই’ সিনেমার ব্যাপ্তিকাল ২ ঘণ্টা ১২ সেকেন্ড।ডিজিটাল ফরমেটে তৈরি।
রোমান রায়