ভালোবাসার মিডিয়া ও একজন পরীমনি: আবদুল জাববার খান

কয়েকদিন আগের কথা, পরীমণির দুর্দশাগ্রস্ত নায়িকা সুলভ অভিনয় আর মেয়েলী কান্নাকাটির জোরে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছেন। মামলা দিয়ে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করিয়েছেন, তথাকথিত বোটক্লাব কর্মকর্তাদের কে। মেয়েলী ক্ষমতার পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় দেড় কোটি ফ্যান ফলোয়ার সমৃদ্ধ ফেসবুক পেজ।
এই শক্তিগুলোর কোনটাই শেষ হয়ে যায়নি। তবু শেষ রক্ষা হলো কি? কারণ সত্যি টা বের হয়েছে। প্রাপ্ত ভিডিওর কল্যানে ও তদন্তের কারণে কথিত আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন। পরীমণি হয়তো ভেবেছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার মামলা নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। কিন্তু থলের বেড়াল বের হয়ে যাবে, এমন দুর্ঘটনার শংকা সে করেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময়োপযোগী ব্যবস্হা গ্রহন করেছেন, তা নাহলে এটা হয়তো একটা ট্রেন্ড হয়ে যেতো। অনেকেই এরকম অপশক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হতে পারতো। অনেক ধন্যবাদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
এখন আবার দেখতে পাচ্ছি, কেউ কেউ এই সুযোগে আস্ত মিডিয়াকে বিভিন্ন মাধ্যমে ধুয়ে দিচ্ছেন। খুবই নিন্দনীয় এবং হতাশাজনক এদের এসব আচরণ। তাদের বোঝা উচিত, পরীমণি মানেই মিডিয়া নয়। সে মিডিয়ার একটি অংশ মাত্র। মিডিয়া একটা বিশাল কনসেপ্ট, এটা নিয়ে কথা বলতে হলে অনেক জানা দরকার। মিডিয়া তার নিজের শক্তিতেই টিকে থাকবে। কারো অপকর্মের জন্য মিডিয়ার কার্যক্রম বন্ধ হবে না। বরং মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান নিয়েই মিডিয়ায় কাজ করবে শিল্পী কলাকুশলী।
পরীমণি তার অর্বাচীন আচরণের জন্য গ্রেফতার হয়েছেন। তার দোষ, অন্যায় তদন্তের পর বের হবে। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সে একজন সেলিব্রিটি। তার এই জায়গাটা একদিনে তৈরি হয়নি। অনেকে চেষ্টা
করেও আলোচিত নায়িকা হতে পারেনি। মুক্ত পরীমণিকে নিয়ে অনেকে কথা বলেনি। বন্দী পরীমণিকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপে মেতে উঠেছে। কেউ কেউ মেয়ে শিল্পীদের ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে কমেন্ট দিচ্ছে, ‘পরীমণি শেষ, এবার তোর পালা’
এসব লোকের নোংরা মানসিকতা দেখে দেখে ঘেন্না লাগছে। যে যা করবে, তার
রেজাল্ট সে পাবে, এটাই সত্যি। পরীমণির তদন্ত ও বিচার শেষে আবার আবার সিনেমায় ফিরবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক : ব্যবস্হাপনা পরিচালক, বসুধা গ্রুপ লিমিটেড