চলচ্চিত্র আমার স্বপ্নের ঠিকানা

প্রত্যেক মানুষেরই একটা একটা স্বপ্ন থাকে, সে স্বপ্নকে ধরেই প্রত্যেকে নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। আমারও একটা স্বপ্ন আছে। ছোটবেলায় যখন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই, তখন থেকেই এই স্বপ্ন অন্তরে লালন করে আসছি। আর সেটা হলো চলচ্চিত্রের বড় পর্দায় নিজেকে আলোকিত করে তোলা। এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী, বললেন টিভি অভিনেত্রী ও মডেল সাদিয়া মেহজাবীন। তিনি বলেন, ‘আমি অভিনয়টা বুঝি বলেই অভিনয় দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যখন যে কাজ করেছি তখন তার জন্যই প্রশংসা পেয়েছি। চলচ্চিত্রাভিনয়ে আমি নিজেকে ভালোভাবে প্রমাণ করতে পারব। এখান থেকেও প্রশংসা কুড়িয়ে নেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিজের সম্পর্কে আমার যথেষ্ট ধারণা আছে। সন্দেহ নেই যে আমি নিজের বৈশিষ্ট্যেই উজ্জ্বল। তাই আমার তলিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’ দৃষ্টিপাত নাট্য দলের কর্মী সাদিয়া মেহজাবীন টিভির জন্য প্রথম অভিনয় করেন কমল চাকমার আল্লারাখা নাটকে। এরপর অনেক একক, ধারাবাহিক নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। সাদিয়া মেহজাবীন বলেন, ‘সবাই বলে আমার চোখ দুটি সুন্দর এবং আবেদনশীল। আমাকে যদি গ্রামের বালা সাজানো হয় তাহলে সাবলিল ও স্বাচ্ছন্দ্য অভিনয় দিয়ে আমি সবাইকে মুগ্ধ করে দিতে পারব।’
চলচ্চিত্র শিল্পে এখন রয়েছে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা। সে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য একজনকে অবশ্যই মেধা, বুদ্ধি, যোগ্যতা, সর্বোপরি দর্শক মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে সমর্থ হতেই হবে। সাদিয়া মেহজাবীনের মধ্যে সে সব উপাদান বিদ্যমান আছে। সাদিয়া বলেন, আমি শিথিল পোশাকে নিজেকে পর্দায় উপস্থাপন করতে পারব না। এক্ষেত্রে আমাদের সামাজিক জীবনটাকে দেখতে হবে। সমাজ যতটুকু গ্রহণ করবে ততটুকুতো আমাকে করতেই হবে।
অর্ণব আদিত্য