পূর্ণিমাঃ আসলে ঈদ নিয়ে নতুন করে কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদে যেরকম করে বাসায় থাকা হতো সেরকম করেই থাকবো।আর গত বছর থেকেই তো করোনা।গত বছরও করোনায় ঈদ গেলো।এবারও সেম সিচুয়েশন।আমরা অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি।আগের ঈদগুলোতে যেমন প্ল্যান থাকতো এদিক ওদিক যাওয়ার আত্মীয়-স্বজন আসা,তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া।এবার তো তা হচ্ছে না।তাই আনন্দও থাকছে না।কি নিয়ে আসছি বা কি নিয়ে যাচ্ছি আমি এটাই একটা ভয়ংকর বিষয়।সবাই তো পরিবার নিয়ে থাকে।এখন আমরা যারা ঘরোয়া ভাবে থাকি।বাড়ির মধ্যে ফ্যামিলি মেম্বার ইভেন আমার বাড়ির যারা কর্মচারী আছেন তারাও ঈদের ছুটি নিবেন না।একে তো পরিবহন বন্ধ,তারাও ভয় পাচ্ছেন যে ভীড়ে বাসে যানে যাবে পরিবারের জন্য কিছু নিয়ে কিন্তু করোনার জন্য তা হচ্ছে না। তো তারাও আমাদের সাথেই ঈদ করবেন।তো তাদেরও তো একটা কষ্টের বিষয়।ঈদে মন খারাপ থাকবে তাই কার জন্য রান্না করবো।ঈদে আম্মা রান্না করবে ঈদে আম্মার হাতের রান্না খাবো। আমার মেয়ে আরশিয়া ঈদ করতে ওর বাবার সাথে চিটাগং চলে গিয়েছে।আমি ঈদের দুদিন পর গিয়ে নিয়ে আসবো। আমাদের ছোটবেলায় ঈদ যেমন এবাড়ি ওবাড়ি যেতাম সালামি নিতাম আমার মেয়ে আরশিয়ার ঈদ ওরকম না।জন্ম থেকেই ওবাসায় ঈদ করেছে।ও আসলে এখন কিছুটা বুঝে ঈদে মেহেদী দিতে হয়,নতুন জামা পড়তে হয়,সেমাই খেতে হয়।
জয়া আহসানঃ আমি যেখানেই থাকিনা কেন সব সময় ঢাকাতেই আমি ঈদ করি।এবারের ঈদটা আসলে ঘরবন্দী।আমাদের একপ্রকারের ঘরেই ঈদটা কাটবে।আমরা তো আশা করে ছিলাম এবারের ঈদটা ভালো করে হবে।আমি আসলে সবাইকে বলবো সবাই যখন এতোদিন ধৈর্য্য ধরেছেন,সবাই যেনো আরেকটু ধৈর্য্য ধরেন।এবার তো আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাওয়া কিংবা তারাও কেউ আসতে পারেন না।এটা সম্ভবও না আর উচিতও হবে না।তাই যারা বাইরে আছেন তাদের সাথে আপাতত ফোনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি।দেশে-বিদেশে যেমন করি।আর আমরা যারা ঘরে আছি তাদের তো কোনো সমস্যা নেই।তারা সবকিছু মেনে ঠিকঠাক মতো হাতে হাত রেখে কোলাকুলি করে ঈদ করতে পারবো।
আরিফিন শুভঃ কোভিডের মধ্যে আসলে ঈদ বলে কিছু নেই। আসলে ঈদের দিন হলো দিনটা পার করা।এছাড়া বাইরে বের হওয়া ঈদে যা যা করা হয়, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করা,তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া এগুলো আমি করবো না।মুম্বাই থেকে শুটিং করে আসার পর পায়ের ইনজুরি ভোগাচ্ছে।থেরাপি চলছে।আগের বারের ঈদে ফুল লকডাউন ছিলো,সেইবারেও করিনি।এবারও সেম।এইটুকু সচেতন যদি আমি নিজে না হই মানুষকে তাহলে কি বলবো? আল্লাহ যদি বাঁচাইয়া রাখেন সামনে আরো ঈদ দেখতে পাবো।আমি নিজে ও আমার আশেপাশের মানুষদের জন্য সোস্যাল ডিস্টেন্স মেইনটেইন করতে হবে। এবার আমার কষ্টটা হলো আমার ছবিটা গেলো বছরের আসতে পারেনি এবারও পারলোনা।স্বাভাবিকভাবে আমার মন মানসিকতা ভালো নেই।আমার লাইফে এতো লম্বা সময় নিয়ে কাজ করি নাই।দেড় বছর লেগেছে এই ছবিটা শেষ করতে।এই যে দুঃখটা এতো কষ্ট করে কাজ করলাম অথচ তাদেরকে দেখাতে পারলাম না।রেজিষ্ট্রেশন করার পর এখনও আমি আমার মায়ের ভেকসিন নিতে পারিনি।এটার কারণও বুঝতে পারছিনা।কেন?২৭ দিন হয়ে গিয়েছে মায়ের রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে অথচ এখনো ভেকসিন দেয়া হচ্ছে না।
জায়েদ খানঃ আমি ঢাকাতেই ঈদ করবো।যতোটা সুরক্ষিত থেকে সুস্থ থেকে পরিবারের সাথে বাসায় ঈদ করবো।আত্মীয় বন্ধু সহকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবো।করোনা পরিস্থিতিতে যতোটা সেফ থেকে সম্ভব ততোটাই ঈদ উদযাপন করবো।
মাহিয়া মাহিঃ গতবারের ঈদ করোনায় গেলো এবারের ঈদও করোনায়।আত্মীয় বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা হবে না,কারো বাসায় যেতে পারবো না,কেউ আসবে না।খুবই খারাপ কাটবে এবারের ঈদ।আমি আমার পরিবারের সাথেই ঈদ কাটাবো।আমি ঈদের দিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় থাকবো।এরপর আমাদের নিজস্ব গাড়িতে আমাদের পরিবারের তিনজন আমাদের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাবো।সেখানে সপ্তাহখানিক থাকবো।করোনার জন্য এবার শ্বশুরবাড়িও যাবো না।তারাও কেউ এই করোনার জন্য বাসা থেকে বের হয় না।বিয়ে পর এই প্রথম ঈদে শ্বশুরবাড়ি ঈদ করা হচ্ছে না।ঈদের পর দিন অপুর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসার কথা রয়েছে।
শবনম বুবলীঃ আসলে এটা খুবই দুঃখজনক কারণ আমি মনে করি ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানেই খুশী। যতোই বলি আমরা করোনা পরিস্থিতিতে যাচ্ছি আমরা এটা মেনে নিয়েছি কিন্তু এটা সম্ভব না।প্রতিনিয়ত করোনা বেড়েই চলছে। আমরা কিছু দিন আগেও মনে করে ছিলাম করোনা শেষ হয়ে গিয়েছে।আমরা করোনাকে জয় করে ফেলছি।করোনাকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গিয়েছি কিন্তু না করোনা একদম যায়নি আমাদের পাশাপাশিই আছে।আগামী কয়েক মাসে বা ফিউচারে কি হবে আমরা কেউই জানিনা।বেঁচে থাকলে সুস্থ থাকলে ঈদ করা যাবে। তাই যতোটুকু সর্তক থেকে ভালো থেকে ফ্যামিলির সাথে বাসায় থেকে ঈদ করা যায় যেটা আমি নিজেও করবো।ঈদে আমি সময় পেলেই রান্না করতে পছন্দ করি।
সিয়াম আহমেদঃ ঈদ আসলে যেভাবে কাটানোর উচিত সেভাবেই কাটাবো ঈদ মানেই তো আনন্দ।এটাই আমার কাছে আনন্দের যে আমার পরিবারের মানুষ সবাই সুস্থ আছেন।আল্লাহর কাছে এর থেকে বড় শুকরিয়া আদায় করা ছাড়া আর কিছুই নাই।এটাই এবারের সবচেয়ে আনন্দ।সুস্থতা নিয়ে ঈদের আনন্দ কাটাতে চাই।করোনার কারো বাসায় যাওয়া আড্ডা দেওয়া যাবেনা।কিন্তু এরজন্য মন খারাপ করার কিছু নেই।ফোনে ভিডিও কলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়।প্রকৃতির নিয়মে পৃথিবী চলবে আমাদের তো কিছু করার নাই।আমরা বেঁচে আছি সুস্থ আছি এটাই তো বড়।
ইমনঃ ঈদ হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। রমজান মাসের পর সব রোজা রাখা হয় যেহেতু আমার ঈদটা আসলে সবার কাছেই অনেক আনন্দের বিষয়।যতো বড়ই হইনা কেন ঈদ আমার কাছে স্পেশাল।গেলো বছরও ঈদে লকডাউন গেলো এই বছর ভাবছিলাম এটা হবে না।যাই হোক সব আল্লাহর ইচ্ছা।এই বছর করোনা ভাইরাস গেলো বছরের করোনা ভাইরাসের চেয়ে কম ছিলো কিন্তু মানুষের মনে ভয় আতঙ্কটা বেশি ছিলো।এবার আক্রান্তের সংখ্যা মৃত্যুর সংখ্যা বেশি তবে মনে হচ্ছে মানুষের মনে ভয় কিছুটা কম কাজ করছে।সবকিছু দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে।ঈদটদ আমি আমার পরিবারের সাথেই কাটাবো।ঈদের দিন পাঞ্জাবি পড়ে নামাজ পড়ে সেমাই খাবো।যদি সম্ভব হয় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে পরিবার নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো।এমনিতে তো আড্ডা দেয়া গেদারিংয়ে যাওয়া সম্ভব না উচিতও হবে না।আমাদের আরেকটু সেভ থাকবো।আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব সবারই একই অবস্থা ঘুরাফেরা করাটা রিস্কি।ঈদ নিয়ে অনেক প্ল্যান ছিলো সেটা মনে হয় সম্ভব না।সবচেয়ে মন খারাপ লাগছে গেলো বারের মতো এবারও ঈদে নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে না।এতো বড় উৎসবে সিনেমা মুক্তি না পাওয়ায় মন খারাপ লাগছে।
নিরবঃ ঈদের মতো কাটাবো।আমি ঈদে আমার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীতে যাবো।সেখানে আমি ঈদ করবো।এবারের ঈদে অ্যাপসে আমার একটি সিনেমা মুক্তি পাবে।অনন্য মামুন পরিচালিত ‘কসাই’।প্রথম অ্যাপসে আমার ছবি মুক্তি পাচ্ছে তাই এটা নিয়ে এক্সসাইটিং ও ভয়ও কাজ করছে।অ্যাপসে ছবি দেখা এটা এখনো আমাদের অভ্যাস হয়নি।তবুও আশাকরি আস্তে আস্তে হয়ে যাবে।আমার যারা ফ্যান ফলোয়ার সিনেমাপ্রেমী আছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো অ্যাপসে আমার নতুন সিনেমাটা দেখুন তাহলে আমরা আরো ভালো ভালো সিনেমা বানাতে উৎসাহী হবো।
রোমান রায়