আজ প্রিয় অভিনেত্রী দিতির মৃত্যুবার্ষিকী

দিতি। পুরো নাম পারভীন সুলতানা দিতি। সোনারগাঁও জন্ম নেয়া দিতি, শৈশব থেকেই গায়িকা হবার স্বপ্ন দেখতেন। গানের চর্চাও করতেন। শিশু একাডেমি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় কৈশরেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। বি.এ পাস করেন লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা জাতীয় ভাবে “নতুন মুখের সন্ধানে” কার্যক্রম শুরু করে। এর মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন দিতি। অবশ্য এর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি নাটকে অভিনয় করেন দিতি। তিনি প্রথম চলচ্চিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’ ছবিতে। তবে ছবিটি মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি “আমিই ওস্তাদ”। আমার পেশাদার সাংবাদিক জীবনে বরাবরই দিতি ছিলেন আমার বোনের মত। ডাকতেন “সৎ ভাই” বলে। একদিন ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, আমার ভাইদের মধ্যে আপনি সব চাইতে সৎ। বাসায় এসে আমার স্ত্রীকে ভাবী ডেকে সালামও করেছেন। আমার ছোট্ট ২ মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করেছেন ফুফুর মত। (৩য় টা তখনো পৃথিবীতে আসেনি)। গুলজারকেও ডাকতেন ভাই। তার পরিচালনার প্রথম ছবি “সুখের ঘরে দুখের আগুন”। আমার আর গুলজারের লেখা। ওই ছবিতে সাইন করাতে গেলে দিতি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে বলেছিলেন, ভাই এর ছবিতে কিসের সাইন! স্বামী স্ত্রী ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। আমার লেখা শেষ যে ছবিতে দিতি অভিনয় করেছিলেন, সেটি শাহ আলম কিরণ পরিচালিত “মাটির ঠিকানা”। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ মাটির ঠিকানায় চলে গেছেন আমাদের এই বোন। চীরকালের জন্য। দোয়া করুন, আমাদের এই বোনটির সকল গুনাহ যেন মহান আল্লাহ মাফ করেন এবং তাঁকে যেন বেহেশতবাসী করেন।
মুজতবা সউদ