না। বয়স এসে ভর করার পর, নিজের অনিন্দ সুন্দর মুখে বয়সের ছাপ দেখতে দেন নি তিনি। স্বপ্নের সুচিত্রা সেন সপ্নই রয়ে গেছেন। অগনিত মানুষের হৃদয়ে তিনি রয়ে গেছেন সপ্নে দেখা রাজকন্যা। বাংলা চলচ্চিত্রের রাজকন্যা। এমন কী, তাঁর জরাগ্রস্থ মুখ দেখতে দেবেন না বলে রাষ্ট্রীয় পদক, পুরস্কার আনতেও যাননি তিনি। পেয়েছেন ভারতের ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার। “দাদা ভাই ফালকে” পুরস্কার। “বঙ্গভূষণ” পুরস্কার। অন্তিম মুহূর্তে মুহূর্তে পশ্চিম বাংলার মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেছিলেন তাঁকে। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি, সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াত হন সুচিত্রা সেন। আর সেই সঙ্গে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের এক সোনালি যুগের অবসান ঘটে। না, মৃত্যুর পরও তাঁর মুখ দেখা গেল না। অদেখাই রয়ে গেলেন তিনি। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা এই কিংবদন্তি নায়িকার প্রতি।
মুজতবা সউদ