২০০৭ সালে র্যাম্প মডেলিং দিয়ে মিডিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করেন শিমুল খান। এরপর ২০১১ সালে প্রখ্যাত মঞ্চ নির্দেশক, সৃজনশীল অভিনেতা ‘আশিষ খন্দকার’ এর নির্দেশনায় এবং ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র প্রযোজনায় ‘দ্যা ইয়ার দ্যাট ওয়াজ’ নামক ন্যাশনাল থিয়েটার প্রোডাকশনে কাজ করেন তিনি। অতপর ২০১৩ সালে ‘ইফতেখার চৌধুরী’ পরিচালিত ‘দেহরক্ষী’ সিনেমায় ‘রকি’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় পথচলা শুরু হয় তার। সুপারহিট সিনেমা ‘দেহরক্ষী’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ‘শিমুল খান’ কে। এরপর মুস্তাফিজুর রহমান মানিকের- কিছু আশা কিছু ভালবাসা, এ্যাডাম দৌলার- বৈষম্য, অনন্ত জলিলের- মোস্ট ওয়েলকাম-২, সৈকত নাসিরের- দেশা – দ্যা লিডার, কোলকাতায় সুজিত মন্ডলের- হিরো ৪২০, বাপ্পারাজের- কার্তুজ, শাফি উদ্দিন শাফির- ওয়ার্নিং, অনন্য মামুনের- ভালবাসার গল্প, আশিকুর রহমানের- মুসাফির, মিজানুর রহমান লাবুর- তুখোড়, রায়হান রাফির- দহন, তানিম রহমান অংশুর- স্বপ্নের ঘর সহ একের পর এক তিনি অভিনয় করে গেছেন দেশ এবং দেশের বাইরের নামীদামি পরিচালক-প্রযোজকদের সিনেমায়। সেই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত তার অভিনীত ৩০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তার হাতে এইআর হাবিবের মুক্তি প্রতীক্ষিত আলোচিত ‘ছিটমহল’ চলচ্চিত্রটি সহ শ্যুটিং চলতি এবং মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা আছে প্রায় দুই ডজন। বর্তমানে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি পছন্দসই ওয়েব সিরিজ এবং টিভি নাটকসহ অন্যান্য মাধ্যমেও তিনি নিয়মিত কাজ করছেন। কিন্তু এতকিছুর ভিড়েও এবার তিনি দর্শকদের কে একদম নতুন খবর জানালেন আর সেটি হচ্ছে- প্রথমবারের মতো তিনি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ একটি টেলিকম কোম্পানির ফোর-জি নেটওয়ার্কের জন্য নির্মিত এই বিজ্ঞাপনটি নির্দেশনা দিয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত ওয়েব ফিল্ম ‘মাইনকার চিপায়’ খ্যাত মেধাবী নির্মাতা আবরার আতহার। ইতোমধ্যে গত সপ্তাহে বিজ্ঞাপনটির শ্যুটিং এবং ডাবিং সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের ভেতরে যে কোন সময় বিজ্ঞাপনটি দেশের সব টিভি চ্যানেলে একযোগে অনএয়ার শুরু হবে। প্রথমবারের মতো বিজ্ঞাপনে কাজ করা প্রসংগে শিমুল খান জানান- আসলে অভিনয়ের প্রায় সব মাধ্যমেই আমার কাজের অভিজ্ঞতা হলেও কখনো বিজ্ঞাপনে অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি। বহুবার বিজ্ঞাপনে কাজের প্রস্তাব এলেও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত আর কাজ করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এবার কাস্টিং ডিরেক্টর ‘ইফরিতজেনা মিতি’র কাছ থেকে প্রস্তাব পাবার পর বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা ‘আবরার আতহার’ এবং টেলিকম ব্র্যান্ডটির নাম শুনেই আমি মূলত রাজি হয়ে গেছি। আশাকরি এই কাজটি সবার কাছেই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে কারণ সিরিয়াস-কমেডির দারুণ মিশ্রণে দূর্দান্ত আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নির্মিত হয়েছে বিজ্ঞাপনটি।
রোমান রায়