মর্তুজা বশীর। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ বরকতের রক্তে ভিজে গেছিলো যার শার্ট। মিছিলেই ছিলেন এই ভাষা সৈনিক। গুলির মুখেও দৌড়ে গিয়ে ধরেছিলেন বরকতকে। আরও ক’জন ছাত্র মিলে নিয়ে গেছিলেন হাসপাতালে। বরকতকে বাঁচাতে না পারলেও বাংলাদেশের কৃস্টি, সংস্কৃতি, মানুষের জীবন কিংবা মহান মুক্তিযুদ্ধকে তিনি যেন জীবন্ত রেখেছিলেন তাঁর শিল্পকর্মে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মুরালটি মর্তুজা বশীরের। প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ছেলে মর্তুজা বশীর বিচরন করেছেন দৃশ্যশিল্পের সকল শাখায়। পাশাপাশি সাহিত্য ও চলচ্চিত্রেও রেখেছেন অবদান। চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘একুশে পদক’। ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় জন্ম নেয়া মর্তুজা বশীর আজ ১৫ আগস্ট ২০২০ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন। তাঁর মৃত্যুতে মহামান্য রাস্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রার্থনা করি তাঁর আত্মা যেন শান্তিতে থাকে।
মুজতবা সউদ