ছোট বেলা থেকেই তিনি প্রতিবাদী। সেই সূত্রেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্ত হয়ে ছিলেন শহীদ আলমগীর। পরবর্তীতে নাম লিখেয়েছেন জাতীয় রাজনীতিতে। বর্তমানে তিনি জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাস্কৃতিক সম্পাদক। অবশ্য শোবিজ অঙ্গনের মানুষ তাকে চেনেন প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা হিসেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। এই অবস্থায় কর্মহীন মানুষের মনোবল চাঙ্গা করতে নিজের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে রং তুলি দিয়ে নিজের হাতে লিখেছেন ‘কেউ বিপদে পড়লে আমাকে ফোন দিন’। শহীদ আলমগীর বলেন, ‘ওই পোষ্ট দেয়ার পর থেকে প্রতিদিনই সাহায্য চেয়ে ফোন করেন লোকজন। সাধ্যমত চেষ্টা করি দেয়ার। একদিনে সর্বোচ্চ ২০ জনকে টাকা পাঠিয়ে সাহায্য করেছি আমি।’ তিনি বলেন, সাহায্য দেয়ার ক্ষেত্রে সংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকদের বেশি প্রধান্য দিয়েছি। কারণ এই অঙ্গনের মানুষগুলো সবার কাছে চাইতে পারে না।
’ করোনার এই দুঃসময়ে এহেন মানবিক গুণ নিয়ে আলাদা প্রশংসা করার দরকার নেই। তবে তার অপর একটি ফেসবুক পোষ্ট বেশ সাড়া জাগিয়েছে। প্রশ্ন তৈরী করেছে, কেন তিনি এভাবে লিখলেন? তার পোষ্টটি ছিল এমন, ‘আমি জলবিন্দু মাত্র/ তবু যুদ্ধ করি তুফানের সঙ্গে/ কারণ ভরসা রাখি/ সমুদ্র আমায় রক্ষা করবে/’ এর ব্যাখ্যায় শহীদ আলমগীর বলেন, করোনার এই সময়ে আমাদের সংস্কৃতিক অঙ্গনে যা ইচ্ছে তাই হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করছে না। নতুন বাজেট হলো, সংস্কৃতিক কর্মীদের উজ্জীবিত করতে সেখানে কিছু নেই, এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বশীলদের প্রতিবাদ করার কথা থাকলেওত তারা চুপ। আমি কিন্তু প্রতিবাদ করেছি। ফলে অনেক প্রিয় মানুষের কাছে আমি অপ্রিয় হয়েছি। তাই বলে আমি থেমে যাইনি, থামব না কোনো দিন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়েব সিরিজের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে আমি লিখে ছিলাম, ‘ময়ুরী, সাহারা, ঝুমকা, পলিরা অশ্লীলতার জন্য ফিল্মে নিষিদ্ধ হলে টেলিভিশনের এরা কেন নিষিদ্ধ হবে না?’ শেষ প্রশ্নবোধকের জবাব সরূপ ওই ওয়েব সিরিজের অভিনেত্রী আমাকে ফেসবুকে ব্লক করেছেন। বিষয়টা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে এবং আমার প্রতিবাদ আরো জোড়ালো হয়েছে।
আলমগীর কবির