শরীর ফিট রাখতে অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর এর ‘মসলা চা’

প্রাচীনকাল থেকে চা পানের প্রচলন আছে। সারা বিশ্বজুড়ে চায়ের কদর প্রতি নিয়ত বেড়েই চলেছে। চা পানে প্রচুর উপকারীতা আছে। অতিরিক্ত চা পানে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। আজকের দিনে নানা ধরণের চা বাজারে অনায়াসে পাওয়া যায়। যে সমস্ত মানুষ দুধ দিয়ে চা পান করতে ভালো বাসেন তারা ব্যবহার করেন লিকার চা। বহু মানুষের পছন্দ সুগন্ধি পাতা চা। এ ছাড়াও গ্রীন টি ও মসলা চা এর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। আপনারা আমার তৈরি মসলা চা এর রেসিপি অনুযায়ী পান করে দেখতে পারেন। আশাকরি ওজন কমাতে শরীর ফিট রাখতে যথার্থ বলেই মনে হয়। আমি কার্যকরীতা, পান করার নিয়ম এবং প্রস্তুত প্রণালী দিয়ে দিলাম। বাড়িতে তৈরি করে ১৫ দিন পান করে দেখুন তাহলেই বুঝবেন এর কার্যকারিতা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং সন্ধ্যার আগে চা পান করবেন। চা পান করার ৪৫ মিনিটের মধ্যে আর অন্য কিছু খাওয়া যাবেনা। এই এক লিটার জল দুবারে অথবা বারবার অল্প করে খাওয়া যেতে পারে। খাওয়ার আগে পরে কার্বোহাইড্রেট না নেওয়াই ভালো।
প্রস্তুত প্রণালী:-
এক লিটারের বেশি জল।
পরিমাণের থেকে একটু বেশি অর্গানিক গ্রীন টি।
এক লিটার জলে অন্তত বড় তিন চার টুকরো দারুচিনি ভেঙে দিতে হবে। তিন থেকে চারটি এলাচ ভালো করে ছিড়ে দিতে হবে,
চারটা থেকে পাঁচটা লবঙ্গ,
চার থেকে পাঁচটা গোল মরিচ,
চার থেকে পাঁচটা তেজপাতা।
চা বানানোর যে টাইমিং তার থেকে একটু বেশি সময় ধরে জল টা ফোটাতে হবে। প্রত্যেকবারই নরমাল জল না খেয়ে একটু গরম জল পান বা উষ্ণ গরম জল পান করতে হবে। ভালো ফল পেতে হলে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। কার্বোহাইড্রেট আছে এমন খাবার বেলা তিনটের পর থেকে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। এর সাথে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত শাকসবজি ফলমূল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এটা আমি নিজে খাচ্ছি ভাল ফলাফল পেয়েছি। আরেকটা কথা শুধু চা পান করলেই হবেনা ফুল স্ট্রাকচার টাও মেনটেন করা জরুরি। বাকিটা আপনাদের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
আশা করছি আপনারাও ফলো করবেন কারণ এটা সত্যিই খুব ভালো কার্যকরী এই মুহূর্তে।
আলমগীর কবির