করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাট্যনির্মাতা এমদাদুল হক খান দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। তাঁর স্ত্রী-কন্যাও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরাও সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। নির্মাতার পর তাঁর স্ত্রী ও বড় মেয়ের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাঁরা সবাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁরাও সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন জানিয়েছেন নির্মাতা এমদাদুল হক খান। তিনি আরো জানান, ছোট মেয়েকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল, তবে তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সবাই ভালো আছেন।
গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে ফেসবুকে এমদাদুল হক খান লেখেন, ‘আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ার বরকতে করোনামুক্ত হয়ে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে কাটিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) বাসায় আসলাম। অশেষ কৃতজ্ঞতা ডিরেক্টরস গিল্ডের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ সালাউদ্দিন লাভলু ভাই, এস এ হক অলিক ভাই ও ফরিদুল হাসান ভাইকে। এই কদিন তাঁদের অনেক জ্বালিয়েছি। হাসিমুখে তাঁরা সব সমস্যার সমাধান করেছেন।’ চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে এমদাদুল হক খান লেখেন, ‘উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা আমাদের জীবন রক্ষা করছেন।’
এই নির্মাতা পেশায় সাংবাদিক। ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি ও ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী সদস্যদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এমদাদুল হক খান। সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফেসবুকে এ নির্মাতা লেখেন, ‘ফোন করে অনেকে সাহস জুগিয়েছেন। অনেকে নামাজ পড়ে আমার জন্য দোয়া করেছেন। বিপদে পড়ে বুঝলাম, রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও মানুষ কতটা আপন হতে পারে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। এই কামনা করি।’
মূলত নাট্যনির্মাতা হলেও এমদাদুল হক খান একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেছিলেন ২০১৬ সালে। ‘মন নিয়ে লুকোচুরি’ শিরোনামের এ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক শাহরিয়াজ ও চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। দুই দফা শুটিং হলেও ছবির কাজ বন্ধ হয়ে যায় পরের বছর।
রোমান রায়
