বিশ্বজুড়ে নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে মানুষ। অন্য সব লড়াই হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করতে হলেও এ লড়াই একটু ভিন্ন রকম। ছোঁয়াচে এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে হলে সামাজিক দুরত্বের বিকল্প নেই। তাই এ লড়াইয়ের একটাই স্লোগান ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন’। তবে, মানুষের দুর্যোগে শিল্পী মন কি আর চুপচাপ ঘরে বসে থাকতে পারে? না শিল্পী মনও চুপচাপ নেই। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও নানানভাবে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক শোবিজ তারকারাই নিজেদের জায়গা থেকে সাধারণ জনগণকে সচেতন করছেন। আবার অনেকেই রাস্তায় নেমে পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষের। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। এ অবস্থায় দিনমজুর হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা পড়েছেন বিপাকে। কারণ, তাঁরা প্রতিদিন যে টাকা পান, তা দিয়ে চলে সংসার। না খেয়ে থাকার মতো অবস্থা হয়েছে তাঁদের। পিরোজপুরে নিজ গ্রামের এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও তার সংগঠন ‘সার্পোট’। এ সংগঠন থেকে আজ সকালে প্রথম দফায় শতাধিক পরিবারকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। দ্বিতীয় দফায় আজ বিকালেও শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানান সাপোর্ট সংগঠনের অন্যতম নেতা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
তিনি বলেন, আমরা যাঁরা সচ্ছল আছি, তাঁরা বাসায় সময় কাটাচ্ছি। তবে আমরা লক্ষ করছি দিনমজুর, রিকশাওয়ালা ও হকাররা পেটের দায়ে রাস্তায় নেমে আসছে। কারণ, তাঁদের বাসায় খাবার নেই। নিজের পরিবারের চিন্তা করেই মূলত তাঁরা কাজ না করে থাকতে পারছেন না। তাই এই অসচ্ছল মানুষগুলোর পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। পিরোজপুরে আমার সংগঠন ‘সাপোর্ট’র সৌজন্যে প্রথম দফায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন সাপোর্ট এর কার্যনির্বাহী পরিষদ। দ্বিতীয় দফায় আজ বিকালে ফের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। সমাজে যাঁরা সচ্ছল, তাঁদের প্রতি অনুরোধ রইল, আপনারা সামর্থ্য অনুযায়ী অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়ান।
রোমান রায়