ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ছয় জন মৃত্যু বরণ করেছেন। করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সারা দুনিয়া। লকডাউন হয়েছে অনেক দেশ ও ব্যস্ত শহর। স্থবির হয়ে গেছে বাংলাদেশও। বন্ধ হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। রাস্তাঘাটে নেই মানুষজন। এমনি অবস্থায় জীবন ও জীবিকা নিয়ে অসহায় দিন পার করছেন খেটে খাওয়া দিন মজুররা। সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষেরা তাদের দায়িত্ব নিচ্ছেন যার যার জায়গা থেকে। এগিয়ে এসেছেন অনেক তারকাও।এবার সে তালিকায় নাম লেখালেন অভিনেত্রী ও মডেল সাদিয়া মির্জা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি নিজ হাতে খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছেন।খাবারের প্যাটেকের মধ্যে ছিল, চাল, ডাল,আলু,পিঁয়াজ, লবণ, তৈল, সাবান। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটে মেহেদী মাঠে এবং রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে থামিয়ে দিনমজুর অসহায় লোকদের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য তুলে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন সাংবাদিক আহমেদ সাব্বির রোমিও,আমিন শাহ,মোঃ আমিন,সোলায়মান মোহাম্মদসহ আরো অনেকে।
সাদিয়া মির্জা বলেন, ‘নিজের তাগিদেই রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা যারা সবদিক থেকে সেফ আছি তাদের এটা দায়িত্ব অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো। আমি চেষ্টা করবো এই সহায়তা নিয়মিত রাখতে। সেই সঙ্গে যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যেন এভাবে এগিয়ে আসেন, অনুরোধ করছি।এই শহের এমন অনেক লোক আছে যারা একশ জন করে অসহায় মানুষের দায়িত্ব নিলে কেউ না খেয়ে থাকবে না, ঝুঁকিতে থাকবে না। করোনার প্রভাবে মন্দ দিনগুলোতে সবাইকে সচেতন থাকতে হব। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। এই সময় খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে না যাওয়াই ভালো। হ্যান্ড গ্লাভস,মাস্ক ব্যবহার করুণ।আর হ্যান্ডসেনিটাইজার দিয়ে হাত ধোঁয়া জরুরী।এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে নিজের ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছি শুধুমাত্র এই অসহায় মানুষদের কথা ভেবে। যদি আমাদের এই সামান্য কিছু তাদের জন্য কোনো উপকার হয়, এটা ভেবেই শান্তি লাগছে। যদি আমার সামর্থ্য আরো বেশি থাকতো,তাহলে আমি আরো বেশি করে মানুষের উপকার করতাম। জানি এই সময়ে এটা অপ্রতুল,তবুও এই দুর্দিনে আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি। আমি রাস্তায় এসে দেখেছি অনেক বাচ্চারা না খেয়ে আছে।আমি তৎক্ষনাৎ সব বাচ্চাদের বিসকুট কিনে দিয়েছি। আমি চাই সমাজের বিত্তবানরা আপনারও এগিয়ে আসুন এই অসহায় মানুষদের জন্য। আর আমি পরিশেষে ধন্যবাদ দিতে চাই যারা আমাকে এই মহৎ কাজে বিভিন্ন ভাবে পাশে থেকে সাহায্য করেছেন।
তুষার আদিত্য