গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছিলাম আমি এবং ড.নুরন্নবী ভাই। আমরা গিয়েছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানানো এবং অবহিত করবার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয় রাত আটটার সময়, সেই সময় গুলশান আওয়ামী লীগের এক নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ করে বললেন উনি নাকি পার্টির টাকা আত্মসাৎ করেছেন এটা নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন উনি তার বিচার চাইতে এসেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন রেগে গিয়ে বললেন এসব বিচারও আমাকে করতে হবে। এইসব কারণে তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে শুধুমাত্র কুশল বিনিময় ছাড়া আর একান্তে কথা বলার কোন সুযোগ হয়নি। তিনি তখন গণভবনের অফিসে ঢুকে পড়লেন। একান্তে কথা বলা ও দাওয়াত দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম এবং রাত দশটার সময় সুযোগ হল। সেই সময় এক অসুস্থ ব্যক্তি তার চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইলেন এবং তিনি আমেরিকা অথবা লন্ডনে চিকিৎসা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন বললেন তোমার চিকিৎসার দরকার চিকিৎসা করাব আমেরিকা অথবা লন্ডনে যেতে হবে কেন। লোকটি আবারো বললেন আমেরিকা অথবা লন্ডন ছাড়া এই চিকিৎসা হবে না। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের কে দেখিয়ে বললেন আমেরিকার লোকেরা এখানে আছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো আমেরিকার ভিসা দেবে কিনা ? তখনো তিনি বেশ বিরক্ত হলেন। এরপর আসলো আমাদের পালা, আমাদের সাথে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সম্মেলন ও যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য সহকারে শুনলেন এবং দিকনির্দেশনা দিলেন। অবাক হলাম এই দুই ব্যক্তির আচরণ দেখে যারা সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে বিরক্ত করলেন। আমার প্রশ্ন হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এই দেশটি নিয়ে এবং এই দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবার আর কেউ কি নেই? রাষ্ট্রের অন্যান্য কর্তা ব্যক্তিরা কি এইসব ছোটখাটো বিষয় গুলো সমাধান করতে পারেন না? আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের শেষ ভরসা কিন্তু তাই বলে প্রতিটি বিষয়ে উনাকে বিরক্ত করা কি ঠিক? উনিও তো একজন রক্ত-মাংসের মানুষ, উনারও ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছু আছে, তাই সারাক্ষণ যদি এই দেশ ও জাতিকে নিয়ে ওনাকেই কাজ করতে হয় তাহলে বাকি লোকদের প্রয়োজন আছে কি? মহান রাব্বুল আলামিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে সুস্থ জীবন ও নেক হায়াত দান করুক। ফেইসবুক টাইম লাইনে বক্তব্যটি লিখেছেন জাকারিয়া চৌধুরী, সভাপতি, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র