বাবা বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা আলমগীর এবং মা বিশিষ্ট গীতিকার খোশনূর। বিখ্যাত বাবা-মা’র সন্তান হিসেবে নয়,নিজ যোগ্যতায় অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে বাংলা সংগীত জগতে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করেছে অনন্য এক স্থানে। তিনি আর কেউ নয়, তিনি হলেন বাংলা গানের জগতের জনপ্রিয় সুরেলা কন্ঠের অধিকারিনী কন্ঠ শিল্পী আঁখি আলমগীর। চলচ্চিত্রের তাঁর প্রথম প্লেব্যাক ছিলো ১৯৯৪ সালে ইস্পাহানী আরিফ জাহান পরিচালিত ছবি ‘বিদ্রোহী বধূ’। এরপর তিনি অসংখ্য সিনেমায় গান করেন।পাশাপাশি তাঁর এই পর্যন্ত ১৯ অ্যালবাম বের হয়েছে। সিনেমায় গান অ্যালবামের পাশাপাশি তিনি দেশ-বিদেশে প্রচুর স্টেজ শো করে থাকেন।দেশের মতো বিদেশেও রয়েছে তাঁর অনেক ভক্ত শ্রোতা। তিনি প্রথম বাংলাদেশী শিল্পী ছিলেন যার জন্য ভারতে বিখ্যাত গীতিকার পুলক বন্দোপাধ্যায় কয়েকটি গান লিখে দিয়েছিলেন। সংগীত জীবনে অনেক গুণী শিল্পীদের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। চলচ্চিত্রে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে গান করে এবারই প্রথম শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে তাঁর হাতে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন।
গতকাল রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৭-১৮ সালের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখার শ্রেষ্ঠত্ব এর জন্য এই পুরস্কার তুলে দেন। এই সময় ২০১৮ সালে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির ‘গল্প কথার ঐ’ শীর্ষক গানটিতে কন্ঠ দিয়ে এই সম্মানে ভূষিত হোন। তাঁর গাওয়া এই গানটি দর্শকদের হৃদয়েও দাগ কেটেছে এবং ভীষণ জনপ্রিয়তা পায়।
২৫ বছর ধরে চলচ্চিত্রে গান করে এবারই প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করায়।কন্ঠ শিল্পী আঁখি আলমগীর বিনোদন বিচিত্রা’কে বলেন, ‘এই অর্জনের ভালো লাগা একেবারেই অন্যরকম। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চলচ্চিত্রে গান করার পরই আমার এই প্রাপ্তি,এই স্বীকৃতি পেলাম। আমও সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রথমেই আমি আমার সৃষ্টিকর্তাকে, আমার পরিবার,আমার ভক্ত শ্রোতাদের এবং সম্মানিত জুরি বোর্ডকে ধন্যবাদ দিতে চাই।
আমি আরো ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের সম্মানিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’কে, যিনি নিজ হাতে সবাইকে পুরস্কার তুলে আমাদের সম্মান আরো বাড়িয়ে দেবার জন্য। আমি ভীষণ আবেগাপ্লুত এই সম্মান দুই বার অর্জন করলাম।একবার ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ ছবিতে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেছিলাম।’
রোমান রায়