ইতিহাসে প্রথম ছবি ‘ন ডরাই’ সমুদ্রের তীরে বিশেষ প্রদর্শনী

মুক্তির আগে থেকেই বেশ আলোচনায় ছিলো দেশের প্রথম সার্ফিং নিয়ে নির্মিত ছবি ‘ন ডরাই’। মুক্তির আগে এই ছবি পোস্টার,ট্রিজার, গান সবকিছুই দর্শকদের মনে নাড়া দিয়ে ছিলো। যার বাস্তব প্রতিফলন সিনেমাটি ২৯ নভেম্বর মুক্তির পরই তার প্রমাণ মিলে। দর্শকরা উৎসুক হয়ে সিনেমাটি উপভোগ করেছে। আর অনেক নতুনত্ব উপহার দিয়েই চলেছে আলোচিত ছবি ‘ন ডরাই’। এবার আরেকটি নতুন পালক যুক্ত হলো ছবিটির ইতিহাসের সঙ্গে। ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছবিটির এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো কোনো ছবির ‘বিচ প্রিমিয়ার’ এটি। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সায়মান বিচ রিসোর্টের সামনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য প্রদর্শিত হয় ‘ন ডরাই’। এতে উপস্থিত ছিলেন ছবির প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। স্থানীয় সার্ফারদেরও এ প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদেরকে টি শার্টসহ বিশেষ উপহারও দেয়া হয়। প্রদর্শনী শেষে অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয় বারবিকিউ পার্টি।
‘পুরো আয়োজনটিই ছিল মনোমুগ্ধকর। নিচে বালুকণা, ওপরে পরিষ্কার আকাশে ফুটে ওঠা নক্ষত্র আর চাঁদের আলো, পাশ থেকে মশালের আলো কাটিয়ে ভেসে আসা সমুদ্রের মৃদু গর্জন আর সামনে সুবিশাল পর্দায় চলছে ‘ন ডরাই’; সত্যিই অভূতপূর্ব এক দৃশ্য ছিল এটি’-এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন একজন দর্শক।
এ আয়োজনের মূল ব্যক্তি ছবির প্রযোজক মাহবুব রহমান রুহেল। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেয়ার। ছবির গল্প, নির্মাণশৈলী, চিত্রায়নসহ সবকিছুতে অভিনবত্বের ছাপ রাখার প্রয়াস ছিল আমাদের। সাহসী নারীর গল্পের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আকর্ষণীয় রূপে পর্দায় উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিচ প্রিমিয়ারও এই নতুনত্বের প্রয়াসের একটি অংশ। ছবি মুক্তির পর থেকে এ যাবত দর্শকদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমার চেষ্টা অনেকখানি সার্থক বলে মনে করি।’
স্টার সিনেপ্লেক্স এর প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘ন ডরাই’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান। প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল।
দেশের প্রথম নারী সার্ফার নাছিমা। তিনি কক্সবাজারের মেয়ে। তার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ন ডরাই’। ওই প্রিমিয়ারে নাছিমা নিজেও হাজির হয়েছিলেন। তার সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয় আয়েশা ওরফে সুনেরার। তিনি বলেন, প্রিমিয়ারের আগে নাসিমার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছি। ইমোশনাল হয়ে ছিলাম। ছবি প্রদর্শনের পর তার সঙ্গে কথা বলা হয়ে ওঠেনি।
সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে ‘ন ডরাই’। এই শব্দের অর্থ ‘ভয় করি না’। ছবিতে সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করে সার্ফার হিসেবে এক নারীর প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা নারীদের উৎসাহিত করবে। এটি একটি নারী জাগরণের ছবি।
রোমান রায়