বন্ধ সিনেমা হল চালু করতে ঋণ দেয়া হবে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প রক্ষায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো চালুর জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এটি কার্যকর হলে বন্ধ হলগুলো পুনরায় চালু হবে; চলচ্চিত্র শিল্পের দৈন্যদশা কেটে যাবে। বুধবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহ-সভাপতি ডিপজল ও রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইমন, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ফরহাদ, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, রোজিনা, আলীরাজ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, মারুফ আকিব প্রমুখ। বাংলাদেশের সিনেমা বিশ্ব চলচ্চিত্রের ‘বাজার দখল করবে’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জেলাপর্যায়ে সরকারি তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
সেগুলো সিনেমা হল হিসেবে ব্যবহারের জন্য লিজ দেয়া হবে। এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে সিনেমার স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে। সেই স্বর্ণযুগের হাত ধরে বাংলাদেশের বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ববাজার দখলের দিকে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) দৈন্যদশা কাটিয়ে তুলতে এরই মধ্যে ৩২২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৩-৪ বছরের মধ্যে এফডিসির নতুন ভবন তৈরি হবে। এছাড়া গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১০৫ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্বমানের ফিল্মসিটি তৈরিতে এক হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়ার কথাও জানান ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্রের বন্ধ্যত্ব কেটে গেছে, এ শিল্পে গতি এসেছে। অনেক নতুন প্রযোজক-পরিচালক এসেছেন। উৎসাহ হারিয়ে ফেলা পরিচালকরাও নতুন করে ছবি বানানোর চিন্তা করছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনুদানে ছবি নির্মিত হয়। এ ধরনের ছবি যাতে আরও নির্মিত হয় সেজন্য আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছি। চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করেছি।
একটি ছবি নির্মাণে আগে যেখানে ৬০ লাখ টাকা দেয়া হতো এখন সেটা বাড়িয়ে ৭৫ লাখ করা হয়েছে। আগে অনুদানের ছবি হলে মুক্তি পেত না, সেটি এখন থেকে হলে মুক্তি দিতে হবে। আর্টফিল্মের জন্য কিছু অনুদান দিতে হবে, সেটি নির্দিষ্টসংখ্যক ছবির জন্য দেব।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, বাংলা সিনেমার উন্নয়নে আমরা সবাই একযোগে কাজ করতে চাই। আগের তুলনায় এফডিসির উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাই। কারণ ভালো মানের ছবি নির্মাণের জন্য আমাদের আরও উদ্যোগ নিতে হবে।
এজন্য চলচ্চিত্র শিল্প উন্নয়নে আগামী ৫ বছরের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
রোমান রায়