ডিভোর্স দিয়ে মিম যদি মিডিয়াতে ভালো থাকে, থাকুক : সিদ্দিকুর রহমান

এক দশকের বেশি সময় ধরে মিডিয়াতে কাজ করেন সিদ্দিকুর রহমান। কত তারকাদের বিয়ে দেখেছেন, দেখেছেন বিচ্ছেদও। করেছেন আফসোস, প্রার্থনা করেছেন তার সংসারে জেনো কখনো বিচ্ছেদের এই কালো মেঘ ছেয়ে না আসে। কিন্তু ইশ্বরের পরিকল্পনার কাছে তার সৃষ্টির চাওয়া মাঝে মাঝে হয়ে যায় তুচ্ছ। যেমনটা হয়েছে সিদ্দিকুরের সাথে।
এক বছরের প্রেমের পর ভালোবেসে ২০১২ সালে বিয়ে করেন মারিয়া মিমকে। সেই সংসার আলোকিত করে ২০১৩ সালে জন্ম হয় তাদের প্রথম পুত্র সন্তান আরশ হোসাইনের। কিন্তু সাত বছরের এই সংসার আর দীর্ঘ হলো না। তিন মাস আলাদা থাকার পর গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন মিম। কাগজটি সিদ্দিকের কাছে গতকাল ২৩ অক্টোবর পৌঁছানোর কথা। বাবা মায়ের এই দ্বন্দ্বে পরিবার হারালো ছয় বছরের ছোট্ট আরশ। সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি সে আমার নামে অনেক অভিযোগ দিয়েছে। ডিভোর্স লেটারও পাঠিয়েছে। এখনো আমার হাতে এমন কোনো কাগজ এসে পৌঁছায়নি। আমাকে ডিভোর্স দিয়ে যদি মিমি মিডিয়াতে কাজ করেই ভালো থাকে, ভালো থাকুক।
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে মারিয়া একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি তিক্ততা নিয়ে লিখেছেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিই। কারণ আমিও মানুষ, আমারও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছি। একটা দীর্ঘদিনের বেদনা, কান্না এবং চাপা কষ্ট সবকিছু নিয়ে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আমি আমার সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।
ঝামেলার সূত্রপাত মারিয়ার একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করাকে কেন্দ্র করে। মারিয়া সেই বিজ্ঞাপনে কাজ করতে চাইলেও সিদ্দিকুর তাকে বাঁধা দেয়। যদিও সেই বিজ্ঞাপনে আর মারিয়ার কাজ করা হয়নি। এরপর থেকেই তাদের সাংসারিক কলহ বাড়তে থাকে। সেই জেরেই ঈদের সময় বাড়ি গিয়ে আর না ফিরে তালাক দিলেন স্ত্রী।
রোমান রায়