প্রথমবারের মতো কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি অভিনীত সিনেমা ‘রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’।সিনেমাটি উপভোগ করতে গত রোববার কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের আরেক নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। প্রিয় ‘জয়া আপু’র সঙ্গে বসে নিজের ছবি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন জ্যোতি। টিকিট কিনে জ্যোতিকে তাঁর অভিনীত ছবিটি দেখিয়ে অনুপ্রাণিত করলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
গত রোববার বেলা পৌনে চারটায় হাইল্যান্ড পার্ক আইনক্সে সিনেমাটি দেখতে যান বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এ সময় জ্যোতিকা জ্যোতি ছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক নুরুল আলম আতিক। ছবি দেখার পর জয়া আহসান বলেন, ‘এ ছবিটার জন্য আমরা অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমার সৌভাগ্য হলো আমাদের রাজলক্ষ্ীর পাশে বসে একসঙ্গে ছবিটা দেখার। ছবির শেষটা এত জাদুকরি, এত নাটকীয় একটা গল্প কী করে এত বিশ্বাসযোগ্য করে বলা যায়, সেটা মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। বাকি যা আছে ক্যামেরা, অভিনয়সহ কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। যাঁরা বাংলা ছবি ভালোবাসেন, বাংলা ছবির রস আস্বাদন করতে চান, বাংলা ছবির একটি নতুন গতি হিসেবে অবশ্যই এ ছবিটি দেখতে আসবেন। চোখ জুড়িয়ে যাবে, মনটা ভরে যাবে।’
এদিকে কলকাতা থেকে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যম’কে বলেন, ‘আমি আগেই জয়া আপুকে আমন্ত্রণ করে রেখেছিলাম। তাঁর মতো বড় অভিনেত্রীর সঙ্গে বসে নিজের ছবিটা দেখতে পারা আমার জন্য অনেক আনন্দের ও অনুপ্রেরণার। অনেক দর্শকই দ্বিতীয়বার ছবিটি দেখছেন। আমি একা বসে একবার ছবিটি দেখব।’ তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের দর্শকেরাই ‘রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’কে এগিয়ে নিচ্ছেন। নির্মাতাদের আশা পূজার মতো উৎসবের এ সময়েও বড় বড় বাজেটের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়াবে এ ছবির প্রদর্শনী।
বাংলাদেশে ‘রাজলক্ষ্ী ও শ্রীকান্ত’ ছবির প্রদর্শনী প্রসঙ্গে পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য গণমাধ্যম’কে বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা আছে বাংলাদেশের দর্শকেরাও ছবিটা দেখুন। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা মেনে আমরা ছবিটা বাংলাদেশে দেখাতে চাই। তবে এখনই বলতে পারছি না, সেটা কবে।’ আপতত এপার বাংলার মানুষদের রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’র জন্য অপেক্ষা প্রহর গুনতে হবে।
অঞ্জন দাস