লন্ডনে ফটোশুট করে কাজে ফিরলেন ঈশিকা

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঈশিকা খান সর্বশেষ ক্যামেরা সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১৭ সালে ৩০ অক্টোবর। ওইদিনে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তার লাইভ ছিল। শেষ করে পরদিন রাতেই উড়াল দেন লন্ডন।। সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিয়ের পর সেখানেই স্থায়ী হয়েছেন তিনি। তবে শোবিজে কাজের প্রতি ঈশিকার ভালোবাসা, টান মোটেও কমেনি। তাই সুযোগ পেয়ে সেখানে একটি আন্তর্জাতিক ব্রাইডাল ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। যার মাধ্যমে প্রায় ২ বছর পর কাজে ফিরতে যাচ্ছেন ঈশিকা খান। ঈশিকা বলেন, ‘যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তারা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিকমানের কাজ করে থাকেন। বিশ্ববিখ্যাত বিবি লন্ডনের হয়ে কাজ করেছি। ফটোগ্রাফার ছিলেন সাজাদ সালার, মেকআপ আর্টিস্ট ছিলেন জুলিয়া আলী, যিনি বিশ্বের বড়বড় তারকাদের সাজিয়ে থাকেন। তার মাধ্যমেই কাজের সুযোগ এসেছে।’ ঈশিকা আরো বলেন, কাজের জন্য ফিটনেস মোটামুটি ঠিক রেখেছিলাম। প্রতিদিন অনেক হাঁটতাম। লন্ডনে মিডিয়া সম্পৃক্ত এটাই সবচেয়ে ক্লাসি কাজ। বাকিগুলো আমার আয়ত্তের বাইরে। আমার ইমেজের সঙ্গে সেগুলো যায় না। ফটোশুটের ছবিগুলো লন্ডনে বিভিন্ন ম্যাগাজিনসহ ইনস্টাগ্রাম, ওয়েবসাইট, ইউটিউব বেশি জনপ্রিয়। সেখানেও এই ছবিগুলো ব্যবহার হবে। প্রায় ২ বছর আবার ক্যামেরার সামনে, অনুভূতি জানাতে গিয়ে ঈশিকা বলেন, প্রফেশনাল মন নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। বিরতি ভেঙে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে প্রথমে খুব নার্ভাস লাগছিল। কারণ, ইন্টারন্যাশনালি এই প্রথম কোনো কাজ করলাম। যে ড্রেসগুলো পরেছি সেগুলো অনেক দামি। ফটোশুটের আয়োজন, স্টুডিও সবগুলোই ছিল আমার জন্য ইমপ্রেসিভ। গেল এপ্রিলের শেষে ননদের বিয়ের ‘ডেসটিনেশন ওয়েডিং’-এ তুরস্কে গিয়েছিলেন ঈশিকা। সেখানে নেয়া হয়েছিল মেকআপ আর্টিস্ট জুলিয়া আলীকে। তিনি ঈশিকার ইনস্টগ্রামে ফলোয়ার্স (১২ লাখের বেশি) এবং ছবি দেখে, গুগল থেকে তার সম্পর্কে জেনে কাজের অফার করেন, যোগ করেন ঈশিকা। ঈশিকা বর্তমানে দক্ষিণ লন্ডনের সাটন শহরে থাকেন। জানালেন, নভেম্বরের শেষে মাস দেড়েকের জন্য দেশে ফিরবেন। তারপর কয়েকটি নাটকে কাজ করবেন।
আলমগীর কবির