মম-মেহজাবিনকে নিয়ে দেবদাস অপূর্ব

বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বহুল জনপ্রিয় উপন্যাস ‘দেবদাস’। নানা দেশে নানা ভাষায় এই উপন্যাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক-সিনেমা ও গান। আবারও নতুন মোড়কে নির্মাণ হচ্ছে ‘দেবদাস’।
আসছে ঈদের টেলিফিল্ম হিসেবে এটি নির্মাণ করছেন জাকারিয়া সৌখিন। আর এখানে প্রধান তিন চরিত্রে এবার দেখা যাবে অপূর্ব, মেহজাবিন এবং জাকিয়া বারী মমকে। তবে পুরো গল্পটি নির্মিত হবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে। মূল গল্প ঠিক রেখে সবকিছুতেই পরিবর্তন থাকবে।
নতুন ভাবনার এই ‘দেবদাস’র নাম রাখা হয়েছে ‘জলসাঘর’। চরিত্রগুলোর নামও পাল্টে গেছে। দেবদাসের নাম রাখা হয়েছে পবন, পার্বতীর নাম অবনী আর চন্দ্রমুখীর নাম চারুলতা। এ বিষয়ে নির্মাতা সৌখিন বলেন, ‘দেবদাসের মতো প্রেমের উপন্যাস কখনো পুরানো হয় না। গল্পের মূল বিষয়টি সবসময়ই নতুন। তাই বর্তমান সময়ে গল্পটিকে ভেবেছি। আর বর্তমান সময়কে প্রাধান্য দিতে গিয়েই কিছু বিষয় পাল্টে গেছে। কিন্তু গল্পের মূল আবেগ ঠিক আছে। বলা যেতে পারে ‘দেবদাস’কে নিয়ে এটি একটি নীরিক্ষামূলক কাজ হতে যাচ্ছে।’
‘জলসাঘর’-এ দুটো বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। দেবদাস বা পবনের সম্পর্কের ধরন এবং তার জীবন। দেবদাসের সাথে পার্বতী এবং চন্দ্রমুখীর সম্পর্কটা আসলে ‘ব্যাথা’র। সে কারো সাথেই ‘সুখে’র সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি, গড়েছে ব্যাথার সম্পর্ক। আর এ কারণেই তার জীবনটা জলসাঘরেরই মতো।
‘জলসাঘর’-এ অভিনয় প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘অনেক বড় অভিনেতারা ‘দেবদাস’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমি সেই একই চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছি, তাও বর্তমান সময়ের ভাবনায়। অবশ্যই কঠিন। আমি চেষ্টা করবো।’
মেহজাবিন অভিনয় করছেন পার্বতী বা অবনী চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘নির্মাতা যখন আমাকে প্রথম শেয়ার করেছিল বিষয়টি, বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিলো। বর্তমান সময়ে হলেও মূল গল্প তো একই। সবাই সেভাবেই বিচার করবে, দেখবে। তাই চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট।’
জাবিয়া বারী মম বলেন, ‘ভালো হবে আশা করি। আমার ভালো লেগেছে, চন্দ্রমুখীকে অনেক মানবিকভাবে নির্মাতা এবার উপস্থাপন করছেন। আসলে চন্দ্রমুখীর অনেক উদার একটি চরিত্র। মূল গল্পে কিংবা সিনেমাগুলোতে এ বিষয়টি নাচ-গানের ভিড়ে হারিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের প্রজেক্টে ঠিক উল্টোটি ঘটবে।’ নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন জানান, শিগগিরই ‘জলসাঘর’র শুটিং শুরু হবে। আর এটি ঈদে বাংলাভিশনে প্রচার হবে।