সালমান স্মৃতিচারণে দুই নায়িকা

বাংলা চলচ্চিত্রের অবিস্মরণীয় এক যুগের সৃষ্টিকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নায়ক সালমান শাহ। আজ ৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণ হলো তার অকাল মৃত্যুর ২৩ তম বছর। ৯০ দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় এই নায়কের প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এ অভিনেতার বেশিরভাগ চলচ্চিত্র হয়েছিল তুমুল নন্দিত-নিন্দিত ও ব্যবসাসফল। মাত্র তিন বছরের অভিনয় জীবনে এমন দর্শকপ্রিয়তা চলচ্চিত্র ইতিহাসে বিরল। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এ প্রথম অভিনয় করার পর থেকেই বাংলা চলচ্চিত্রে ভরসার প্রতিশব্দ হয়ে ওঠেন এ নায়ক। সালমান শাহ প্রথম ছবিতে জুটি বাঁধেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে। আর সবচেয়ে বেশি (১৪টি) ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে। প্রিয় সালমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন দুই নায়িকা।
সালমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শাবনুর বলেন, ‘নায়ক সালমান নেই এ কথা কেন জানি আজও বিশ্বাস হয় না। কোটি ভক্তের মতো নায়ক সালমানের স্মৃতি আমাকেও ক্ষত-বিক্ষত করে। তার সাথে কাটানো স্মৃতিগুলো আমার কাছে বেদনার পাহাড়। তার সঙ্গে ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছি। একসঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি। কিন্তু বাস্তবে যে তার জন্য আমাদের কাঁদতে হবে, সেটি কখনোই ভাবিনি। বাস্তবে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে প্রিয়নায়ক সালমান। যেখানেই থাকুক না কেন, মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে ভালো রাখুক। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের আকাশে এক ধূমকেতুর মতো এসেছিল নায়ক সালমান। আমার বিশ্বাস, নায়ক সালমান শাহ যুগে যুগে তার ভক্তদের হৃদয়ে চির অমর হয়ে থাকবে।’
চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন, ‘প্রথম চলচ্চিত্রে সালমান শাহের নায়িকা ছিলাম আমি। সেদিন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একটি ইতিহাস রচনা করেছিলাম আমরা দু’জন। তার মৃত্যুর খবর শুনে আমি কেঁদেছিলাম নাকি, পাথর হয়ে গিয়েছিলাম কিছুই এখন মনে নেই। আমি এখনো বিশ্বাস করি না সালমান নেই। চলচ্চিত্রে সে আমার প্রথম নায়ক, বন্ধু, সহকর্মী। তার সাথে কাটানো স্মৃতিগুলো মনে করলে এখনো অঝোর ধারায় কান্না আসে। সালমান পাগল দুই তরুণী জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছে প্রিয়নায়ক সালমানের প্রতি তাদের কত ভালোবাসা। সবার মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবে সালমান।’
রোমান রায়