অসাধারণ গায়কীর পাশাপাশি স্টেজ শো’তে তার নান্দনিক পারফর্ম্যান্সও দর্শক শ্রোতাকে মুগ্ধ করে এ সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লিজা । তাই বছরজুড়েই দেশ বিদেশে তাকে স্টেজ শো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। গানের ভুবনে তাকে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় বিধায় তার প্রিয় খেলা ‘ব্যাডমিন্টন’-এ আর মনোযোগ দেয়া হয়ে উঠলোনা। যদি মনোযোগী হতেন তাহলে আগামী ডিসেম্বর শুরু হওয়া নেপালে শুরু হতে যাওয়া সাফ গেমসে অনায়াসে যোগ দিতে পারতেন লিজা। কিন্তু তা আর হচ্ছেনা। তবে ব্যাডমিন্টন’এ যে লিজার দারুণ সম্ভাবনা ছিলো সে কথা অনায়াসে স্বীকার করেন ব্যাডমিন্টন’-এ তার কোচ মারুফ আলম। যিনি সম্প্রতি ব্যাডমিন্টন’-এ লেবেল টু সম্পন্ন করেছেন মালয়েশিয়া থেকে। ব্যাডমিন্টন খেলায় একজন কোচের লেবেল টু সম্পন্ন করাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় দক্ষতা হিসেবে কিংবা অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়। নিজের কোচের এমন সাফল্যে গর্বিত লিজা। লিজা বলেন,‘ মারুফ ভাইয়ের কাছে দীর্ঘ ছয়মাস আমি ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করেছি। তার আওতাধীন থেকে ব্যাডমিন্টন খেলায় নিজেকে দক্ষ করে তুলেছিলাম। কিন্তু গান এবং খেলা আসলে দুটো একসঙ্গে পেরে উঠা খুব কঠিন। তা না হলে হয়তো আগামী সাফ গেমসে আমি অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করতাম এবং আমার বিশ্বাস ছিলো আমি পারতাম। দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারতাম। আমি গর্বিত মারুফ আলম ভাইয়ের জন্য, কারণ তিনি এরইমধ্যে একজন কোচ হিসেবে লেবেল টু সম্পন্ন করেছেন। এটা আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বড় যোগ্যতা অর্জন। তার এই সাফল্যে তারই শিক্ষার্থী হিসেবে আমি সত্যিই অনেক অনেক গর্বিত। আমার বিশ্বাস তার আওতাধীন যারা এখন আগামী সাফ গেমসের জন্য প্র্যাকটিস করছেন তারা সাফল্য ছিনিয়ে আনবেন।’ মারুফ আলম বলেন,‘ লিজা আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন। লিজা দারুণ একজন ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার। চেষ্টা করলেই এখানে অনেক বড় সফলতা পেতো। কিন্তু গানের প্রতিই তার ভালোবাসা বেশি। তাই দুটো একসঙ্গে তার করা হয়ে উঠলোনা বিধায় ব্যাডমিন্টনে তাকে চূড়ান্তভাবে পাওয়া গেলোনা। তবে আশা রাখছি তাকে ভবিষ্যতে আমরা পাবো ব্যাডমিন্টন খেলায়।’ মারুফ আলম বর্তমানে আগামী ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিতব্য সাফ গেমস’র জন্য ব্যাডমিন্টনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের [মূল দলের] কোচ হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে মারুফ আলম পেশাগতভাবে ব্যাডমিন্টন খেলে আসছেন। অনুর্ধ্ব ১৬’তে সারা বাংলাদেশে টানা তিনবার, অনুর্ধ্ব ১৮’তে একবার সিঙ্গেল ও ডাবল চ্যাম্পিয়ন, স্কুল ব্যাডমিন্টন’এ টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন, এশিয়ান গেমস (জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ)’এ টানা পাঁচবার অংশগ্রহণ, ১৯৯৭ সালের সাফ গেমস’এ অংশগ্রহণ’সহ ব্যাডমিন্টন’এ তার আরো অনেক সাফল্য রয়েছে। ব্যাডমিন্টন’-এ তিনি ২০১২ সালে লেবেল-১ সম্পন্ন করেন বাংলাদেশ থেকে। ২০১০ সাল থেকে তিনি ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নিমন্ত্রণে কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
রোমান রায়