পরিবারই আমার বড় বন্ধু

“বন্ধু” দুই অক্ষরের শব্দ। কিন্ত এ শব্দের মাঝে মিশে আসে যেন পৃথিবীর সব প্রশান্তির ছায়া; নির্ভরতারর বিশ্বস্ত নাম। আজ বিশ্ব বন্ধু দিবস। আর এ বন্ধু দিবসে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর ফেলে আসা দিন ও বন্ধুদের স্মরণ করে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার খুব বেশি বন্ধু ছিলো না। খুব লিমিটেড একটা গ্রুপ ছিলো। সেনাবাহিনীর গার্লস স্কুলে পড়তাম। আমরা আসলে যা মজা করার স্কুলে করতাম। এর বাইরে সুযোগ ছিলো না। এরপর কলেজে ভর্তি হলাম। তখন বন্ধুরা মিলে দুষ্টুমি করতাম। প্রথম বর্ষে শুরুর দিকের ঘটনা। একদিন বান্ধবীরা বলল, আজ আমরা ক্লাশ করবো না। আমি প্রথমে রাজি হইনি। ওরা নাছোড়বান্দার মতো বলল, চল, কফি শপে যাব। এটা ছিলো আমার জীবনের প্রথম ক্লাশ ফাঁকি দেয়া। তখন আমাদের হাতে খুব বেশি টাকা থাকতো না। আমার কাছে মাত্র ত্রিশ টাকা ছিলো। আমরা সবাই কফি শপে গেলাম। কলেজ ছুটির সময় আমাদের গাড়ি কলেজের গেইটের সামনে আসে। আমরা তাই ছুটির সময় কলেজের গেইটের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। হঠাৎ একজন এসে বলল, প্রিন্সপাল স্যার আমাদের ডেকেছেন। শুনেই আমার ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল। ভেবে পেলাম না স্যার জানলেন কীভাবে? আমরা তো কলেজেই আসিনি। তখন আমার মনে হলো- আমি ক্লাশে বইয়ের ব্যাগ রেখে গিয়েছিলাম। এ কারণেই ধরা পড়ে গেছি। আমাদের সবাইকে টিসি দেয়ার মতো অবস্থা! অভিভাবকদের ডাকা হলো। বিরাট ঝামেলা! কলেজের সবাই বিষয়টি জেনে গেল। যাইহোক, অনেক অনুরোধ করে, ক্ষমা চেয়ে ঝামেলা মিটে গেল। লাভের মধ্যে কলেজের সবাই আমাদের চিনে ফেলল। যখন কলেজ থেকে বের হই তখন আমরা বন্ধুরা মিলে ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানটি গেয়েছিলাম। যে কারণে খুব ফেমাস হয়ে গিয়েছিলাম তখন। এখনও আমরা বন্ধুরা দেখা করি, আড্ডা দেই।’মিডিয়াতে ভালো বন্ধুর তালিকায় কারা রয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আঁখি বলেন, ‘মিডিয়াতে আমার অনেকে বন্ধু আছে। এদের মধ্যে কিছু সিনিয়রদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে, আবার জুনিয়রদের সঙ্গেও হয়েছে। শওকত আলী ইমন আমার ভালো বন্ধু- এটা সবাই জানে। ইমন সাহা আমার প্রতিবেশী। তার সঙ্গেও আমার বন্ধুত্ব আছে। গাজী আঙ্কেলের ছেলেমেয়ে বিথি, উৎপল দুজনই আমার বন্ধু। বাপ্পা ভাই, সম্রাট এদের সঙ্গেও আমার বন্ধুত্ব। কোনাল, স্বপ্নীল, সজিবের সঙ্গে আমার ভালো সর্ম্পক। তারপরও বলব, পরিবারই আমার বড় বন্ধু। তাদের কাছেই আমি সবকিছু শেয়ার করি।
রোমান রায়