চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে ১৯ জন নির্বাচিত, সর্বোচ্চ ভোট পেলেন খসরু

হয়ে গেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির প্রথম দফার নির্বাচন। এতে কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু। এছাড়াও প্রযোজক হিসেবে জিতেছেন অভিনয়শিল্পী ইয়ামিন হক ববি ও ড্যানি সিডাক। পাশাপাশি সহযোগী সদস্য হিসেবে ‍দুটি পদে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
২৭ জুলাই বিএফডিসিস্থ জহির রায়হান প্রজেকশন হলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ফল ঘোষণা করা হয়।
দুই ধাপের নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্যের ১৯ পদে লড়েছেন ৪১ জন প্রার্থী। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিতরা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। এটি আগামী সপ্তাহে হবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০১৯-২১ মেয়াদে নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৪০ জন। ভোট প্রদান করেন ১৩০ জন। এর মধ্যে সহযোগী সদস্য হিসেবে ২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আজিজ আহমেদ পাপ্পু এবং ১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আশিকুর রহমান নাদিম।
এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিরাজুল ইসলাম উকিল মাইকে ১৯জন বিজয়ী নির্বাহী সদস্যর নাম ঘোষণা করেন।
বিজয়ীরা হলেন-
খোরশেদ আলম খসরু ১২১, শামসুল আলম ১১৭, ইস্পাহানী আরিফ জাহান ১১৩, গোলাম মোঃ কিবরিয়া লিপু ১১০, মেহেদী সিদ্দিকী মনির ১০৬, হিমেল ১০৩, রশিদুল আমীন হলি ১০০, জাহিদ হোসেন ৯৮, এ জে রানা ৯৬, মোহাম্মদ হোসেন ৯৫, ইয়ামিন হক ববি ৮৬, কামাল হাসান ৮১, অপূর্ব রায় ৮০, নাদির খান ৭৯, শহিদুল আলম সাচ্চু ৭৬, ইলা জাহান নদী ৭৩, ইকবাল ৭২, ড্যানি সিডাক ৭০ ও আলিমুল্লাহ খোকন ৬৫।
এই ১৯ জনের মধ্যে ১০জনকে আবার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে এবারের মূল কমিটি গঠন করা হবে।
সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই প্রযোজক ভাইদের। যারা নির্বাচন করেছেন আমাদের। আজকে যারা নির্বাচিত হয়েছি, তাদের বাইরেও যারা পরাজয় করেছেন- সবাইকে জানাই অভিনন্দন।’
চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এবারের নির্বাচিতরা কী কী উদ্যোগ নেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বললেন, ‘দেখুন সাত বছর পর আমরা একটা নির্বাচন পেয়েছি। আমাদের চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নে এবার কাজ করার সুযোগ এসেছে। চলচ্চিত্র অনেক হচ্ছে কিন্তু প্রদর্শনের জায়গা নেই। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে সারা দেশে সিনেপ্লেক্স তৈরি করবো। ইটিকিটিং-এর ব্যবস্থা করবো। আমি চাই আমাদের চলচ্চিত্র সিস্টেমটাকে ডিজিটালাইজড করতে।’
রোমান রায়