ডলি জহুর। আসল নাম হামিদা বানু। ডাক নাম ডলি।পড়তেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে।ডিপার্টমেন্টের একটি নাটকে তাঁর প্রথম অভিনয়। সেটা ১৯৭৩/ ১৯৭৪ সালের কথা। ডিপার্টমেন্টের নাটকে চমৎকার অভিনয় সবারই প্রশংসা পায়। যোগদেন “নাট্যচক্র” গ্রুপে। নাট্যচক্র থেকে তিনি প্রথম মঞ্চে আসেন হামিদ ভাই নির্দেশিত “লেট দেয়ার বি লাইট” নাটকে। এতেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তাঁর বন্ধু ছিলেন আরেক নাট্যকর্মী জহরুল ইসলাম। পরবর্তীতে উনার সংগে যোগদেন ‘কথক’ নাট্যগোষ্ঠীতে। সেখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে “প্রাগৈতিহাসিক” নাটকে তাঁর অনবদ্য অভিনয় আজও অনেক প্রবীণ স্মরণ করেন, প্রশংসা করেন। বন্ধু জহুরুল ইসলামের সঙ্গেই বিয়ে হয় তাঁর। সেই সুত্রে নাট্যাঙ্গনে তার নাম হয়ে যায় ডলি জহুর। শুধু মঞ্চেই নন, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে সব মাধ্যমেই এই গুনী শিল্পী ডলি জহুর নামেই পরিচিত। তবে আমার কাছে, শুধু আমার কাছেই বা বলছি কেন, সংস্কৃতি অংগনের সকল শাখার বেশির ভাগ মানুষের কাছেই তিনি ডলি ভাবী। প্রিয় একজন মানুষ। আমার লিখা অনেক চলচ্চিত্র এবং নাটকে অভিনয়ও করেছেন। কখনো “তুই” কখনো “তুমি” সম্বোধনে, বলেন বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ভাবনা গুলো। করেন স্মৃতিচারণ। সহজেই সত্য কথাটা অকপটে বলে দেন। ডলি জহুর অভিনীত নাটক, ধারাবাহিক, টেলিফিল্ম, চলচ্চিত্রের সংখ্যা কত, তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নাই। চলচ্চিত্র দর্শকদের কাছেও তিনি তৈরি করে নিয়েছিলেন আলাদা এক জনপ্রিয়তা। দীর্ঘদিন থেকেই তিনি নিয়মিত অভিনয়ে অনুপস্থিত। দুই বার অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সদা হাস্যময়, অসাধারণ অভিনয়ে দক্ষ, আন্তরিক মানুষটির আজ জন্মদিন। ১৭ জুলাই ডলি জহুর কুমিল্লায় জন্মগ্রহন করেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা ভাবী।
মুজতবা সউদ
