ওমর শরীফ। “লরেন্স অব এরাবিয়া” ছবির পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব, মুম্বাইয়ের দীলিপ কুমার ফিরিয়ে দিলে, পরিচালক ডেভিড লীন এর চোখ পড়ে মিশরের এই অভিনেতার প্রতি। মিশরের নায়িকা ফাতেন হামামা’র সংগে তখন ওমর শরীফের পর্দা রসায়নটা প্রেম পর্ব শেষে, দাম্পত্য জীবনে পরিনত হয়েছে। ফাতেন চাননি শরীফ হলিউডে চলে যাক। কিন্তু ওমর শরীফ রাজি হয়ে যান। “লরেন্স অব এরাবিয়া” তাঁকে এনে দেয় বিশ্ব খ্যাতি। পেয়ে যান পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার অস্কার মনোনয়ন। ডাক পড়তে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ কেন্দ্র থেকে। মাতৃভাষা আরবি হলেও, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর শরীফ ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারতেন। তাই মিশরের ছবি থেকে, তিনি বেশি ব্যাস্ত থাকতেন বিদেশি ছবিতে। এই বিরহ সইতে না পেরে ফাতেন হামামা, অভিমান করেই দীর্ঘ দিনের দাম্পত্য সম্পর্কের অবসান ঘটান। আর নিজের শোক আড়াল করে, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার ছবিতে অভিনয় করে চলেন ওমর শরীফ। তিন বার পেয়েছেন “গোল্ডেন গ্লোব এওয়ার্ড”, পেয়েছেন দূর্লভ “কেয়েইসার এওয়ার্ড”। মিশরের প্রাচীন রাজধানী আলেকজান্দ্রিয়ায় জন্ম নেয়া ওমর শরীফ ২০১৫ সালের ১০ জুলাই বর্তমান রাজধানী কায়রোর একটি হাসপাতালে প্রয়াত হন। প্রয়ান দিনে শ্রদ্ধা এই গুনী শিল্পীর প্রতি।
মুজতবা সউদ
