খোরশেদ আলম খসরু। তাঁর তরুন বয়স থেকে তিনি আমার চেনা। যুবলীগে সক্রিয় ছিলেন। নানান কাজে আসতেন বাংলার বাণী ভবনে। আমি তখন তরুন সাংবাদিক। দেখতাম। আলাপ হতো না কখনো। মনে হতো আদর্শে উজ্জীবিত এক তরতাজা প্রান। তারপর দীর্ঘদিন দেখিনি। নিজের শক্ত বুনিয়াদ তৈরিতে ব্যাস্ত ছিলেন তিনি। অর্থনৈতিক ভিতটা শক্ত হতেই তিনি যুক্ত হয়ে যান চলচ্চিত্র প্রযোজনায়। এখানেও খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্রের বেহাল দশায়, তাঁর আদর্শের সঙ্গীদের নিয়ে একে চাঙ্গা করার সংগ্রামে যেন ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাইরেসি আর অনুমোদন বিহীন দৃশ্য সংযোজনের বিরুদ্ধে তিনি ছুটে গেছেন বাংলাদেশের নানান প্রেক্ষাগৃহে। মাঝে মাঝে প্রান বিপন্নের ঝুঁকিও নিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা এবং বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থানের ফলে সেই অনাহুত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এলেও, ততদিনে প্রায় দর্শক শুন্য হয়ে পড়া প্রেক্ষাগৃহ, একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই অচলায়তন ভাংগতে সচেস্ট হয়েছেন। কিন্তু, চলচ্চিত্রের ঘরোয়া রাজনীতিতে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। দমে যাননি এই প্রযোজক। চেস্টা করে গেছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েও, কিছু মানুষের বিরূপ মনোভাবে, আইনের জটিলতায় সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেন নি খোরশেদ আলম খসরু। তারপরও দমে না গিয়ে চেস্টা করে যাচ্ছেন প্রায় মুখ থুবড়ে পড়া চলচ্চিত্র শিল্পকে টেনে দাঁড় করাতে। তাঁর যে বিষয়টি আমার ভালো লাগে তা হলো, নানান প্রতিকূলতা সত্বেও নিজ রাজনৈতিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি কখনো, কিন্তু কারো উপর নিজ আদর্শ চাপিয়ে না দিয়েও প্রতিটি কাজে সেই আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়ে চলেছেন অনবরত। আজ ৬ জুলাই খোরশেদ আলম খসরু’র জন্মদিন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা তাঁকে।
মুজতবা সউদ