নায়ক ফারুক ওরফে আকবর হোসেন পাঠান (দুলু), ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, আজ ১৫ মে (২০২৩) সকল আনুমানিক দশটায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে সিংগাপুরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অংগনে। জানা গেছে আগামীকাল তাঁর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনা হবে। এইচ আকবর পরিচালিত “জলছবি” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে। স্বাধীনতার পর আলোর মিছিল, লাঠিয়াল, নয়ন মনি, সুজন সখি, সারেং বউ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, সূর্য গ্রহণ এমন সব কালজয়ী, নান্দনিক ও বানিজ্য সফল ছবির মধ্য দিয়ে তিনি পৌঁছে যান শীর্ষ নায়কদের কাতারে। জাতীয় পুরস্কার সহ পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা, বাচসাস ছাড়াও পেয়েছেন আরও অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। আমার এবং বন্ধু দীপেনের সাংবাদিক জীবনের গোড়াপত্তন লগ্ন থেকেই চলচ্চিত্র শিল্পের মিয়াভাই হিসেবে খ্যাত নায়ক ফারুকের, অসম্ভব ভালোবাসা ও স্নেহ আমরা পেয়ে এসেছি। দুদিন দেখা না হলেই, বাংলার বানী ভবনে ফোন করে খোঁজ নিতেন, ব্যাপার টা কী? রোজায় ইফতারের সময়, অফিসে না দেখলে ফোন করে জানতেন, আমাদের সেদিন “পেস্টিং” আছে কিনা। না থাকলে আমাদের কপালে জুটত তীর্যক বকা, কেন তাঁর সঙ্গে ইফতার করিনি। একদম বড়ো ভাইয়ের মতো। মন খুলে আমাদের বলতেন, তাঁর মনের যত কথা। কোন ভনিতা ছিলোনা এই নায়কের কথায় বা আচরণে। নায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালের ১৮ আগষ্ট তদানিন্তন বৃহত্তর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ যেন তাঁর সকল গুনাহ মাফ করেন এবং বেহেশত নসীব করেন।
মুজতবা সউদ